- কিশোরগঞ্জে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে১৯ বছর ধরে জাল সনদে চাকরি - October 22, 2024
- বান্দরবান জেলা মডেল মসজিদ স্থান নির্ধারনে ধর্ম উপদেষ্টা - October 22, 2024
- স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মশাল মিছিল - October 22, 2024
গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রাজাহার ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামে নিয়ম বহিভুর্তভাবে একটি গভীর নলকূপে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গোবিন্দগঞ্জ জোনাল অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের মৃত নকিব আলী মন্ডলের পুত্র মফিরুল ইসলাম এলাকার শতাধিক কৃষকের স্বার্থে দীর্ঘ দিন আগে উপজেলা সেচ কমিটি থেকে গ-২৯১৪ নং লাইসেন্স নিয়ে বোরিং করে ডিজেল চালিত গভীর নলকূপ স্থাপন করে কৃষকদের বিভিন্ন ফসলের জমিতে সেচের পানি সরবরাহ করে আসছিল। ওই গভীর নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে পল্লী বিদ্যৎ সমিতির অফিসে আবেদনও করা আছে। সেই গভীর নলকূপটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে সেচ নিয়ম নীতি না মেনে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে মাত্র ১০৫০ ফুট দুরে একই ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামের তোতা মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম নুরুন্নবীকে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেয়ার পায়তারা করছে। জাহাঙ্গীর আলম নুরুন্নবীর বানেশ্বর মৌজায় কোন জায়গা জমি না থাকায় তার নানা শশুর বিআরএস প্রিন্ট খতিয়ান মালিক আব্দুল আলিম গংদের জমিতে বোরিং দেখিয়ে জমির কাগজপত্র সৃজন করে নিজ নামে ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে গ-২৯৫ নং লাইসেন্স নিয়ে বানেশ্বর মৌজায় ৬৫ দাগে গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গোবিন্দগঞ্জ জোনাল অফিসে ডিপোজিট ওয়ার্কে বিদ্যৎ সংযোগ নেয়ার পায়তারা করায় এলাকার কৃষকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম নুরুন্নবীকে অবৈধ সংযোগ না দেওয়ার দাবী জানান। অভিযোগকারী কৃষক মফিরুল ইসলাম বলেন, জাহাঙ্গীর আলম নুরুন্নবীর ভূয়া কাগজপত্রে স্থাপিত নতুন গভীর নলকূপে সংযোগ দিলে এলাকার কৃষকদের মধ্যে ন্যায়-অন্যায় নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা আছে। তাই তারা অবিলম্বে উক্ত বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গোবিন্দগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল কাদের বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপজেলা সেচ কমিটি সেচনীতি অনুসরন না করে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে একাধিক লাইসেন্স প্রদান করায় এ ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় আমার অনেক সময় প্রশ্ন বিদ্ধ হই। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা আদলত পর্যন্ত গড়ায়। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ঝামেলা মুক্ত গ্রাহক সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর। তাই এবিষয়ে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।