কুষ্টিয়া স্বস্তিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

0
সোহেল রানা,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিলেও কিছু দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের কারণে সেসব উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। নানা অনিয়ম দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতায় ডুবতে বসেছে শিক্ষার মান। এমনই কিছু অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া স্বস্তিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। রেজিস্ট্রেশন বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়, নিয়োগ বাণিজ্য, অতিরিক্ত ফ্রি আদায়, শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার সহ নানা অভিযোগ উঠেছে ঐ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টাকার কোন রশিদ প্রদান করেন না এই শিক্ষক। ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই নিজ ইচ্ছায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে বিভিন্ন নীতিমালা কে তোয়াক্কা না করে মনগড়া নিয়মে চালান বিদ্যালয়। তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জানতে পেরে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে সে সময় কৌশলে স্কুল ছেড়ে চলে যান।
গতকাল সরেজমিনে স্বস্তিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় গেলে এমনটি অভিযোগ করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং ছাত্র-ছাত্রীরা।
সরোজমিনে স্কুলে গিয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীর সাথে কথা বললে, তারা জানান প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন স্যার অ্যাসেম্বলিতে আমাদেরকে ১৫০ টাকা করে রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিতে বলেন। আমরা স্যারের নির্দেশমতো টাকা পরিশোধ করলেও সেই টাকার কোন রশিদ স্যার আমাদেরকে দেয়নি। এদিকে আমাদের কাছ থেকে নেয়ার কথা ছিল ৭৫ টাকা। এই অতিরিক্ত ৭৫ টাকা নেয়ার বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাছে জানিয়েছি।
নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের নিকট থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ নেয়া হয়েছে ২৫০ টাকা করে। সেই টাকার কোন রশিদ দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি যে বোর্ড নির্ধারিত ফি ১৬৮ টাকা। এই অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়ে আমরা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে আমার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আমি এই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করব।
এসব অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি পরে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।
এদিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, টাকার রশিদ না দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়েছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমি পাইনি।
Leave A Reply