হাটশ-হরিপুর ইউনিয়নে পদ্মা ও গড়াই নদী থেকে উঠানো হচ্ছে অবৈধভাবে বালু।। হুমকির মুখে ইউনিয়নটি

0
সোহেল রানা,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ফুলতলা ও জোড়া বটতলা এলাকার গড়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি অর্থলোভী দুষ্কৃতকারী মহল। যদিও জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া বেশ কিছু বালু মহল বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে হাটশ হরিপুর এলাকায় বালু উত্তোলন হচ্ছে দেদারসে। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলছেন অবৈধ বালু মহল বন্ধ করতে তিনি তৎপর রয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জোড়া বটতলা এলাকার গড়াই নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে পলাশ ও একই এলাকার মতি বিশ্বাসের ছেলে শাহীন। অপরদিকে ফুলতলা এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজা রকি। এরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউই এই অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে কথা বলার সাহস পায় না। এসব এলাকা থেকে অপরিকল্পিত উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়। এদিকে হাটশ হরিপুর একটি দ্বীপ অঞ্চল বলে জানে উপজেলাবাসী। যার চার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা ও গড়াই নদী। অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয় যাচ্ছে। এতে করে হুমকির মুখে হরিপুর ইউনিয়ন বাসী।
এলাকাবাসী জানান, এই অবৈধ বালু বহনকারী ট্রলির কারণে রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। রাস্তা দিয়ে বালু যাতায়াত করার কারণে বালু উড়ে রাস্তার পাশের শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্কদের চোখ ও নাকে মুখে ঢুকে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকায় শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রলিচালক জানান, ফুলতলা গড়াই নদী থেকে ট্রলি প্রতি ১শ করে টাকা নেই ঘাটের দায়িত্বে থাকা রকি। জোড়া বটতলা এলাকা থেকে পলাশ ও শাহীন ট্রলির টাকা নেই। প্রতিনিয়ত ৪শ থেকে ৫শ ট্রলি বালুর ভাড়া মেরে থাকে।
এদিকে গত কাল বুধবার একটি বালু বোঝাই ট্রলি আটক করে সদর উপজেলা ভূমি অফিসে রাখা হয়েছে বলেও একটি সূত্র নিশ্চিত করে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকায় গড়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বালু উত্তোলনের নমুনা পেয়েছি। কিন্তু আমরা ঘটনা স্থলে কাউকে পাইনি। আমার নজরদারি রয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave A Reply