দাফনের তিন সপ্তাহ পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

0

সরিষাবাড়ি প্রতিনিধি

জামালপুরের সরিষাবাড়িতে দাফনের তিন সপ্তাহ পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের আদেশে ১ম শ্রেণির ম্যাজিষ্ট্যাটের উপস্থিতিতে ১২ মার্চ সকালে নিহত ফজলুল হকের লাশ উত্তোলন করা হয়। ঘটনাটি উপজেলার ফুলদহ মধ্য পাড়া গ্রামে।

সূত্রে জানা যায়, ফুলদহ মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুল অহেদের ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী ফজলুল হক বন্দু এশাদের (৩৫) ডাকে সাড়া দিয়ে ১৮ ফেব্র“য়ারী সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ওই দিনই ফজলুল হক জামালপুরের বেলটিয়া বাইপাশ রোড়ের অদূরে সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে বলে তার পরিবারকে জানায় এরশাদ। ফজলূল হকের পরিবারের লোকজন ঘটনা স্থল থেকে আহত এরশাদকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে। সড়ক দূর্ঘটনায় এরশাদের মৃত্যু হয়েছে ভেবে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে দাফন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে নানা কানাকানি ও সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় ফজলুল হকের স্ত্রী এরশাদকে প্রধান আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করে। বাদীর লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেয় আদালত । আদালতের আদেশে ১২ মার্চ সরিষাবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রথম শ্রেণির নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্যাট সাইফুল ইসলাম ও সরিষাবাড়ি থানার একদল পুলিশ নিহত ফজলুল হকের বাড়িতে উপস্থিত হন। এ সময় আদালতের যথাযথ নিয়ম মেনেই ম্যাজিষ্ট্যাট সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে নিহতের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরী করেন থানা পুলিশ। সুরত হাল রিপোর্ট তৈরী শেষে ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। লাশ উত্তোলনের সময় নিহত ফজলুল হকের স্ত্রী, সন্তান, বৃদ্ধ পিতা মাতাসহ আত্মীয় স্বজন আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কবর স্থানের আশ পাশ ভিড় জমায় কয়েকটি গ্রামের শত শত নারী পুরুষ। এ সময় হ্রদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা ঘটে।

Leave A Reply