কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন  ভোটের জন্য নয় সওয়াবের আশায় দান খয়রাত করি   চেয়ারম্যান প্রার্থী ঠিকাদার রশিদ

0
সামসুজ্জামান সুমন,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীরা নির্ঘুম দিন রাত ততোই প্রচার -প্রচারণা বেশী করে জোরদার করছে। আগামী ১০মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উৎসব মূখর পরিবেশে প্রচারণা চালাচ্ছে প্রার্থীরা। বিগত দিনের প্রার্থীরা তাদের ভূলের জন্য ক্ষমা চেয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রচার-প্রচারনায় এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঠিকাদার রশিদুল ইসলাম রশিদ (ঘোড়া প্রতীক) ও শাহ মোঃ আবুল কালামা বারী পাইলট (আনারস প্রতীক)। তবে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে মসজিদ মাদ্রাসা ইয়াতিমখানা ও গরীব অসহায় পরিবারের ছেলে মেয়েদের বিয়েতে সহযোগীতা করার বিষয়টি এখন উপজেলার মধ্যে রশিদ দানবীর টক অব দ্যা উপজেলায় পরিনত হয়েছে। মানুষের মুখে এখন  ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী দানবীর রশিদ নিয়ে পথে, ঘাটে, বাজারে, গ্রামে, গঞ্জে বইছে আলোচনার ঝড়। গ্রামের মহিলারা এখন স্বতন্ত্রপ্রার্থী রশিদের জন্য দোয়া ও দান খয়রাত করে চলেছেন। অনেক গ্রামের মহিলারা রশিদুল ইসলাম রশিদের ঘোড়ার বিজয়ের লক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া করেছেন। জাহানারা বেগম বলেন.তার কাছে একদিন আমার চিকিৎসার জন্য সাহায্যের জন্য গিয়েছিলাম তিনি আমার কথা শুনে আমাকে ওষূধ কেনার জন্য দুই হাজার টাকা দিয়েছে। আল্লাহ তাকে চেয়ারম্যান করবেই। গ্রামের মানুষ এবার দানবীর রশিদকে চেয়ারম্যান করার জন্য তার প্রতীক ঘোড়ার পক্ষে কাজ করছেন। উপজেলার তরুন ভোটাররা তার পক্ষে কাজ করছেন নিঃস্বার্থে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের হাজীপাড়ায় নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে এক উঠান বৈঠকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঠিকাদার রশিদুল ইসলাম রশিদ (ঘোড়া) বলেন,আমি উপজেলার প্রতিটি মানুষের সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শুধু চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য নয়। আমার উদ্দেশ্য গবীর অসহায় মানুষের উন্নয়নে কাজ করা। আমি এই উপজেলায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মাহফিল,মসজিদ মাদ্রাসা মন্দিরে নিজ উদ্যোগে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আমার সাধ্যমত সহযোগীতা করেছি। পরিষদের চেয়ারে বসতে পারলে আমি আরও বেশী এই উপজেলার উন্নয়নে কাজ করতে পারবো। তিনি সকল ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন.অনেক প্রার্থী  ভোটারদেরকে বলছে আমরা একটা ভোট পেলেও আমি চেয়ারম্যান হব। তাদের এ কথায় কান দিবেন না। ১০মার্চ সকালে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে বাড়ী ফিরে আসবেন। আপনাদের ভোট কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। প্রশাসন সুষ্ঠ্যু নির্বাচনের জন্য মাঠে ময়দানে সতর্কতার সাথে কাজ করছেন। পরিশেষে তিনি ভোটরদের কাছে অনুরোধ করে বলেন, আমার দান দেখে আপনার আমাকে ভোট দিবেন না। আমি ভোটের জন্য দান করি না। আপনারা আমার দান দেখে ভোট দিবেন না। আমাকে সৎ যোগ্য মনে হলে আপনার মূল্যবান ভোট দিবেন। আমি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে আপনাদের আমানত রক্ষার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করবো। তবে জয়ের ব্যাপারে কোনভাবেই মাঠ ছাড়তে নারাজ অপর স্বতন্ত্রপ্রার্থী শাহ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট (আনারস)। তাকে নির্বাচনে দমায়ে রাখতে দলীয় ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তার পক্ষে ছাত্রলীগের একাংশ কাজ করার কারণে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করেন জেলা ছাত্রলীগ। শাহ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলটও জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
Leave A Reply