কিশোরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে

0

সামসুজ্জামান সুমন,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জমজমাট প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। হোটেল থেকে শুরু করে হাট-বাজারে আলোচনার মূল বিষয় হল ভোট। ভোটাররাও এবার দেখতে চায় নতুন মুখকে। আগামী ১০ মার্চ নির্বাচনে ফলাফল নিজের পক্ষে নেয়ার জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিশিষ্ট ঠিকাদার রশিদুল ইসলাম রশিদ। এ স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঘোড়া) মার্কা নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। প্রতিটি ইউনিয়নের বাজারে বাজারে, চায়ের দোকান, মাঠে-ঘাটে ভোটারদের কাছে দোয়ার পাশাপাশি ভোট চেয়েও বেড়াচ্ছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রশিদুল ইসলাম রশিদ প্রতীক পাওয়ার পর থেকে গ্রামের অলি-গলি, মেঠোপথ, গ্রামে গঞ্জে গনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। নেতাকর্মী, সমর্থকদের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে- “দৌড়া দৌড়ি করেন না, ঘোড়ার সাথে পাইমেন না,হামার ঘোড়ার চারটা পা-ময়নার মা তুই দেখি যা”। এ শ্লোগানটি এখন উপজেলার গ্রামে গঞ্জের শ্লোগানে পরিণত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে হঠাৎ করে শব্দ উঠে ঘোড়া ঘোড়া বলে। চায়ের দোকান-হাট-বাজার, আড্ডার কেন্দ্র বিন্দুতেও পরিণত হয়েছে এ শ্লোগানটি। এদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী নির্বাচন করছে। দলীয় প্রতীক নিয়ে ২ জন ও স্বতন্ত্র প্রতীক নিয়ে ৪ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে নেমেছে। ভোটের মাঠে কেউ কাউকে ছাড় দিতেও নারাজ। সকল প্রার্থী দিন রাত প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী রশিদুল ইসলাম রশিদ উপজেলার বড়ভিটা, নিতাই, পুটিমারী, চাঁদখানা, গাড়াগ্রাম, মাগুড়া, কিশোরগঞ্জ সদও, রনচন্ডী বাহাগিলী ইউনিয়নে উঠান বৈঠক ও প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। গনসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণার সময় গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ রশিদুল ইসলাম রশিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে না আসলে বুঝতে পারতাম না মানুষ আমাকে কি পরিমাণ ভালবাসে। আমার ভোটে আসার কোন পরিকল্পনা ছিল না- জনগণের চাহিদায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আশা করি জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে আমাকে নির্বাচিত করবে বলে আমি আশাবাদি।

Leave A Reply