বগুড়ার লাল মরিচের ফলন ভালো হওয়ায় চাষীদের মুখে হাসি

0

সেলিম রেজা,স্টাফ রিপোর্টার,বগুড়া  :

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে লাল মরিচের ফলন ভালো হওয়ায় চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনূকুলে থাকার কারণে মরিচের ফলন ভাল হয়েছে । ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকলে মিলে লাল টুকটুকে পাকা মরিচ গাছ থেকে তোলা ও তা শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ও স্থানীয় মরিচ চাষীদের সূত্রে জানা যায়- বগুড়া জেলায় এবার মরিচ চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৬’শ হেক্টর জমিতে । পশ্চিম বগুড়ায় সামান্য পরিমান জমিতে চাষ হলেও পূর্ব বগুড়ার গাবতলী, ধুনট, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলার বাঙ্গালী এবং যমুনা নদীর উর্বর চরের জমিতে ব্যাপক হারে মরিচের চাষ করা হয়েছে। তবে একমাত্র সারিয়াকান্দি উপজেলায় চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে। ফলনও হয়েছে ভাল এরই মধ্যে জমি থেকে লাল টুকটুকে পাকা (টোবা) মরিচ তোলার কাজ শুরু করা হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে সোনাতলার পূর্ব সুজাইতপুর, আচারেরপাড়া, চারালকান্দি, সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর, চরদিঘাপাড়া, নয়াপাড়া, করমজাপাড়া, কাজলা, টেংরাকুরা, নান্দীনারচর, ইন্দুরমারাচর, ডাকাতমারা, ধারাবর্ষা ও শংকরপুর চরে। জেলায় চাষ করা ওই পরিমান জমি থেকে প্রায় ১৫ হাজার ২’শ মেট্টিক টন শুকনো মরিচ উৎপাদন হওয়ার আশা করছেন জেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সারিয়াকান্দির ময়ূরের চরের মরিচ চাষী, মোকলেছুর রহমান, বাটির চরের শাহীন মিয়া জানান, প্রতি বিঘায় মরিচ চাষে খরচ হয় প্রায় ১৪ হাজার টাকা। পাওয়া যায় ৬ থেকে ৭ মন শুকনো মরিচ। চলতি মৌসুমে কাচা মরিচের আমরা দাম ভাল পায়নি। তবে শুকানোর পর প্রতি মন মরিচ ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছি। খরচ বাদে আমাদের ভাল লাভ থাকছে। এ দামে বিক্রি করতে পেরে খুবই ভাল লাগছে আমাদের।
এ ব্যাপারে সারিয়াকান্দি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হালিম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গুনগত মান ও স্বাদে ভালো হওয়ায় বগুড়ার মরিচের খ্যাতি দেশ জুড়ে। তাই নামি-দামী মসলা প্রস্তুত কারী প্রতিষ্ঠান গুলোর নজর এ মরিচের দিকে। যার কারনে চাষীরা অনেক দামও পেয়ে থাকে ভাল। তিনি আরো বলেন, আমরা চাষীদের লাভবান করে তুলতে মরিচ চাষের উপর প্রশিক্ষণ ছাড়াও মাঠে গিয়ে ফসলের সমস্যার উপর সার্বক্ষনিক কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ ও সার্বিকভাবে সহযোগীতা দিয়ে আসছেন।

Leave A Reply