দলে সেশনজট কমাতে ছাত্রলীগদের পদ দিন: কাদের

অনলাইন ডেস্ক:

দূষিত রক্ত নয়, স্বচ্ছ ও নতুনদের নেতৃত্ব আনার তাগিদ দিয়ে ্আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা ছাত্রলীগ করেছে তাদের দলে পদ দিতে হবে। আওয়ামী লীগে সেশন জট হয়েছে। সেই জট দ্রুত কাটিয়ে উঠছেন তারা।

বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে, মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশের উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে এবং শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন,  দলের কমিটি গঠনে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর টাউন হলে রংপুর জেলা ও রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, ক্ষমতার দাপট না দেখিয়ে সাধারণ জীবন যাপন করুন। ঘরের মধ্যে ঘর করবেন না। মাদক ব্যবসায়ী, সেবনকারী, চাাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, সুবিধাভোগীদের কাছে টানবেন না। আর বসন্তের কুকিলদের দলে টানবেন না। পরে তাদের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাবেন না। তাদের ‘না’ বলুন।”

সড়কমন্ত্রী রংপুরের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরেন তার বক্তব্যে। বলেন, রংপুর একসময় অন্ধকারে ঢাকা ছিল। উন্নয়ন বলতে কিছুই ছিল না। ছিল মঙ্গা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রংপুর অঞ্চলে এখন আর মঙ্গা নেই। এখানকার মানূষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার মঙ্গা কে জাদু ঘরে পাঠিয়েছে। রংপুর অঞ্চলের ৯৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। আর তাতে রংপুরে আরও উন্নয়ন হবে। শেখ হাসিনা যত দিন আছেন তত দিন দেশের উন্নয়ন হবে। উত্তর জনপদ আর অবহেলায় থাকবে না।

দলে যাদের ক্লিন ইমেজ আছে, যারা কর্মীদের সুখে-দুঃখে কাছে থাকবেন, তাদের মূল্যায়ন হওয়া দরকার উল্লেখ করে আওয়ামী লেিগর সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা দলে দূষিত রক্ত চাই না। ভালো রক্ত চাই। ফ্রেশ মুখদের দলে স্থান দিতে চাই। যারা ছাত্রলীগ করেছে তাদের দলে পদ দিতে হবে। আওয়ামী লীগে সেশন জট হয়েছে। সেই জট আমরা দ্রুত কাটিয়ে উঠতেছি। আশা করি আর জট থাকবে না।’

সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের আওয়ামী লীগে ঢোকার কোনো সুযোগ নেই। সুবিধাবাদীদের দলে স্থান দেওয়া যাবে না। দল ভারী করার চেষ্টা না করে দুর্দিনের নেতাদের দলে স্থান দিতে তাগিদ দেন তিনি।

রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এই অঞ্চল হবে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। আমরা উন্নতির দিকে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছি। রংপুর বিভাগে আগের ক্ষমতা আমরা ধরে রাখতে চাই।’
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেন,  ‘রংপুর থেকে জাতীয় পার্টিকে আমরা বিদায় করেছি। রংপুর বিভাগের ৩২টি সিট আগামীতে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চাই। আর জাতীয় পার্টিকে চিরবিদায় দিতে চাই।’
সন্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকে রংপুর জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থল রংপুর টাউন হল মাঠে সমবেত হন।

বেলা সাড়ে ১২টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য দেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়ার রহমান সাফি, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহামুদ হাসান রিপন, সংসদ সদস্য ডিউক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডা. কামিমা আহামেদ, রংপুর জেলা মহিলা লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহানা রহমান, সদস্য ইফতা জামান লুনা পিংকি খাতুন প্রমুখ।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.