- সিউর সাকসেস স্কুল এন্ড ক্যাডেট কোচিং এর অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত - October 19, 2024
- A large public meeting was held at Dhanbari on the initiative of BNPMd. - October 19, 2024
- BNP initiative in Dhanbari to pray for the souls of those martyred in the mass uprising - October 19, 2024
অনলািইন ডেস্ক:
নোয়াখালীর ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় এক লাখ রোহিঙ্গাদের নিতে চারটি জাহাজ তৈরির কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে খুলনা শিপইয়ার্ড। ৯৪ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত চার জাহাজের তিনটি ইতিমধ্যে হস্তান্তর করেছে খুলনা শিপইয়ার্ড। অপর জাহাজটি ১৫ ডিসেম্বর হস্তান্তর করার দিন নির্ধারিত রয়েছে।
খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন এম এস করিম জানান, এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য ভাসানচরে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই চুক্তির অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ খুলনা শিপইয়ার্ডে এই জাহাজ নির্মাণ কাজের সূচনা হয়। ইতিমধ্যেই চলতি বছরের ১২ জুন দুটি ও ৭ নবেম্বর তৃতীয় জাহাজটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
খুলনা শিপইয়ার্ডের জিএম (প্লান এন্ড এস্টিমেট) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ এর আওতায় ল্যান্ড ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিইউ) নামে চারটি ভ্যাসেল জাহাজ নির্মাণ কাজ শেষের পথে। প্রতিটি এলসিইউ এর দৈর্ঘ্য ৪২ মিটার, মাঝখানে চওড়া ১০ মিটার, গভীরতা ১.৮ মিটার, ওজন ৪১৫ টন, সর্বোচ্চ গতি ১২ নটিক্যাল মাইল, স্বাভাবিক গতি ১০ নটিক্যাল মাইল। এই জাহাজ একবার যাত্রা করে ১৫০০ নটিক্যাল চলতে সক্ষম। জাহাজটিতে ২৫ জন নাবিকের থাকার জন্য সার্বিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এর পাশাপাশি ২৮০ জন যাত্রী নেয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। জাহাজটিতে ১৫০ টন ত্রাণ সামগ্রী বহন করা সম্ভব।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ২ হাজার ৩১২ কেটি টাকার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ বাস্তবায়নে কাজ করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এরই অংশ হিসেবে নৌবাহিনী চারটি এলসিইউ (জাহাজ) নির্মাণে খুলনা শিপইয়ার্ডের সঙ্গে চুক্তি করে। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নের এই প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে চলতি নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারিত ছিল। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আশ্রয়ণ-৩ শীর্ষক প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়, নোয়াখালী জেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়নে ভাসানচরের অবস্থান। নোয়াখালী থেকে এর দূরত্ব ২১ নটিক্যাল মাইল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টেকনাফ ও উখিয়ায় স্থানীয় অধিবাসীর সংখ্যা যেখানে ৫ লাখ ৭ হাজার, সেখানে ১০ লাখ থেকে ১২ লাখ রোহিঙ্গা ওই এলাকায় আশ্রয় নেওয়ায় নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে এবং পর্যটন এলাকা কক্সবাজারের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলেও প্রকল্প কার্যপত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত ভাসানচরের ভূমি উন্নয়ন ও সমুদ্রতীরের নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের জন্য সেখানে ১২০টি গুচ্ছ গ্রামে ১৪৪০টি ব্যারাক হাউজ ও ১২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এছাড়া থাকবে উপাসনালয়, নিরাপত্তার জন্য নৌবাহিনীর অফিস ও বাসভবন, অভ্যন্তরীণ সড়ক, পানি নিষ্কাশন অবকাঠামো, নলকূপ ও পানি সরবরাহ অবকাঠামো এবং ওয়াচ টাওয়ার। সূত্র : ইউএনবি
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.