‘কাউকে শাস্তি দিতে নয়, সড়কে শৃঙ্খলা আনতে এ আইন’

অনলাইন ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়কে-পরিবহনে শৃঙ্খলা দরকার। কাউকে শাস্তি দেয়ার জন্য নয়, সড়কে শৃঙ্খলার জন্য আমরা এ আইন করেছি। আইনের প্রয়োগ বাড়াবাড়ি হবে না।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে গাজীপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের বলেন, সড়কের যে আইন করা হয়েছে, সে আইনটি আপনারা মেনে চলুন। শুধু জনগণ এবং আপনাদের নিজেদের স্বার্থে। ধর্মঘট করে মানুষকে কষ্ট দেবেন না। আইন মেনে চলুন। এ আইন কারো ক্ষতি করবে না।

তিনি বলেন, বিএনপির এখন বেলা শেষ। শেখ হাসিনা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নিচ্ছেন, ঘরের লোকের বিরুদ্ধেও। কাজেই বিএনপির হাতে কোনো ইস্যু আমরা দেব না, দেব না।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের কাজ হলো মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা। মানুষকে খুশি করাটাই হলো আপনাদের কাজ। কলহ করবেন না। ঘরের মধ্যে ঘর করবেন না। মশারীর মধ্যে মশারী টানাবেন না। দল ভারী করার জন্য খারাপ লোকদের পকেটে আনবেন না। খারাপ লোকেরা বসন্তের কোকিল। বসন্ত আসলে আসবে। আর ক্ষমতা চলে গেলে পাঁচ হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ রাখুন।তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আপনাদের এক থাকতে হবে। কমিটি গঠন করতে গিয়ে পকেট কমিটি করবেন না। কমিটি গঠন করতে গিয়ে দু:সময়ের ত্যাগীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। অনুপ্রবেশকারী ক্লিন ইমেজধারীদের আমরা স্বাগত জানাব। কিন্তু দূষিত রক্তের আমাদের দলে দরকার নেই। সারা বাংলায় আওয়ামী লীগে বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে।

বিএনপির উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে কোন চুক্তি হয়নি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা হয়েছে। চুক্তি আর সমঝোতা এক নয়। তাদের এখন ভারত বিরোধিতা কেন? আমরা তো জানি ভারতের অনুগত্য পাওয়ার জন্য বিএনপি ভিক্ষা চাইছে। তারা তাতে বারে বারে ব্যর্থ হয়ে এখন আওয়ামী লীগকে ভারতের সঙ্গে জড়িয়ে পুরানো সেই সুরে নতুন খেলা শুরু করেছে। আমাদের বন্ধু ভারত। আমরা ভারতের প্রতি অনুগত্য দেই না। আমাদের শক্তির উৎস দেশের জনগণ। কোন বিদেশি শক্তি আমাদের ক্ষমতায় বসাবে না।

পেঁয়াজ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের মূল্য এখন নিয়ন্ত্রণে এসে যাচ্ছে। দাম কমে যাচ্ছে। ইনশাল্লাহ পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে। লবণ নিয়েও অনেকে কারসাজি শুরু করেছে। লবণের মূল্যও বাড়ছে। সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। আমি মাননীয় মন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল), ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় নন্দী, সদস্য আখতারুজ্জামান, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সদস্য আজমত উল্লাহ খান, সদস্য সিমিন হোসেন রিমিন এমপি, ইকবাল হোসেন (অপু) এমপি, গোলাম কবির রাব্বানী (চিনু), মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, মেহের আফরোজ চুমকি, বেগম শামসুন্নাহার ভূইয়া এমপি প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গাজীপুর সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাঙ্গীর আলম।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.