‘এভাবে বাঁচতে পারব না’ লিখে নার্সিংয়ের ছা’ত্রীর আত্মহ’ত্যা

অনলাইন ডেস্ক:

ভা’রতের পশ্চিমবঙ্গের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের নার্সিং হোস্টেলে সমাপ্তি নামের এক ছা’ত্রীর আত্মহ’ত্যার রেশ না কাটতেই আরও এক ছা’ত্রীর আত্মহ’ত্যার খবর পাওয়া গেল। ওই ছা’ত্রীর নাম রিয়া দে (১৯)। তার বাড়ি বিষ্ণুপুরের বনমালীপুর গ্রামে। সোমবার পূর্ব বর্ধমান জে’লা স্বাস্থ্য দফতরের একটি নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের হোস্টেল থেকে তার গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত লা’শ উ’দ্ধার করে পু’লিশ।

পু’লিশের ধারণা, রিয়া আত্মহ’ত্যা করেছেন। ঘর থেকে একটি ‘সুই’সাইড নোট’ও মিলেছে। আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ক্লাসে ‘অগজ়িলিয়ারি নার্সিং মিডওয়াইফারি’ (এনএনএম)-র ছা’ত্রী রিয়াকে না দেখে খোঁজ শুরু করেন তার ‘রুমমেটরা’।

তাদের দাবি, সকালে পড়াশোনা, খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘর থেকে বেরোনোর সময় রিয়া তাদের বলেন, ‘তোরা চল, আমি আসছি।’ ঘণ্টাখানেক পরেও রিয়া না আসায় দুপুর ১টা নাগাদ তারা হস্টেলে ফিরে দেখেন, ঘরের দরজা বন্ধ। খবর পেয়ে পু’লিশ এসে লা’শ উ’দ্ধার করে।

পু’লিশের দাবি, যে ‘সুই’সাইড নোট’ মিলেছে তাতে লেখা রয়েছে, ‘এক দিন নার্স হয়ে পরিবারসহ সব মানুষের সেবা করব ভেবেছিলাম, সেটা হল না… এ ভাবে বাঁচতে পারব না। কেন যে সে দিন আমা’র সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হল জানি না। হোস্টেলে আমা’র কিছুই ঠিক হচ্ছিল না’।যদিও কোন সিদ্ধান্তের কথা বলতে চাওয়া হয়েছে বা রিয়া কী’ নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন, তা জানাতে পারেনি তার পরিবার।

এ ঘটনায় একটি ত’দন্ত কমিটি গঠন করেছে জে’লা স্বাস্থ্য দফতর।এর আগে শনিবার ভা’রতের পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ছা’ত্রী সমাপ্তির ঝুলন্ত লা’শ উ’দ্ধার করে পু’লিশ। র‌্যাগিংয়ের কারণে তিনি আত্মহ’ত্যা করেছিলেন বলে তার পরিবারে দাবি।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.