- সিউর সাকসেস স্কুল এন্ড ক্যাডেট কোচিং এর অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত - October 19, 2024
- A large public meeting was held at Dhanbari on the initiative of BNPMd. - October 19, 2024
- BNP initiative in Dhanbari to pray for the souls of those martyred in the mass uprising - October 19, 2024
অনলািইন ডেস্ক
ঢাকা মহানগরীর স্কুলগুলোতে পার্শ্ববর্তী শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ এলাকা কোটা সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দিয়ে লটাারির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা’২০২০ -এ বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম শুরুর আগেই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সব প্রতিষ্ঠান থেকে কোন শ্রেণিতে কতটি আসন শূন্য রয়েছে তার তালিকা সংগ্রহ করবে। ভর্তির পর কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের আগে পাঠানো আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করছে কি না তা যাচাই করবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান ভর্তির কার্যক্রম শুরুর আগে পাঠানো শূন্য আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করে তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নীতিমালার বাইরে কোনো অবস্থাতেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলিজনিত কারণে তাদের সন্তানদের ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান মহানগরী বা জেলা বা উপজেলা ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলের পাশাপাশি এবারই প্রথম বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির কারণে তাদের সন্তানদের ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে। বদলিজনিত কারণে ভর্তির আবেদনের সময়সীমা হবে ছয় মাস। তবে শূন্য আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না। অতিরিক্ত ভর্তি করাতে হলে মন্ত্রণালয় থেকে আগে থেকেই অনুমতি নিতে হবে।
নীতিমালায় সব মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা সদরেও কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক। তবে নিয়ন্ত্রণ বর্হিভূত কোনো কারণে অনলাইনে না করা গেলে কেবল উপজেলার ক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি ভর্তি করা যাবে।
ভর্তির ফরম বিদ্যালয়ের অফিসে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, ডিসি অফিস, বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এবার ভর্তির আবেদন ফরমের মূল্য ধরা হয়েছে ১৭০ টাকা। সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত থেকে বেশি হবে না।
ভর্তিপরীক্ষার সময় ও মান বণ্টন : দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পূর্ণমান-৫০, এরমধ্যে বাংলা-১৫, ইংরেজি-১৫, গণিত-২০ নম্বর। ভর্তিপরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা। চতুর্থ-অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পূর্ণমাণ-১০০। এরমধ্যে বাংলা-৩০, ইংরেজি-৩০, গণিত-৪০ এবং ভর্তিপরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা।
নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবশ্যিকভাবে লটারির মাধমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা প্রস্তুত করার পাশাপাশি শূন্য আসনের সমান সংখ্যক অপেক্ষমাণ তালিকাও প্রস্তুত রাখতে হবে। যমজ সন্তানের একজন আগে থেকে অধ্যায়নরত থাকলে ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। দ্বিতীয়-অষ্টম শ্রেণির শূন্য আসনে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নবম শ্রেণির ক্ষেত্রে জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের প্রস্তুত করা মেধাক্রম অনুসারে নিজ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির পর অবশিষ্ট শূন্য আসনে অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্ধারিত ভর্তি কমিটি বাছাই করতে হবে। গ্রুপ গঠন করবে প্রতিষ্ঠান।
নীতিমালা অনুযায়ী ঢাকা মহানগরীতে সরকারি বিদ্যালয় এলাকায় ওই এলাকার ৪০ শতাংশ কোটা রেখে অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসনের ১০ শতাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা সন্তানদের ছেলে-মেয়ের জন্য ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ২ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য আরও ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর অবস্থান, শিক্ষার্থীদের সুবিধা/অসুবিধা বিবেচনা করে পরীক্ষা কমিটি বিদ্যালয়গুলোকে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বিভক্ত করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা আবেদন ফরমে পছন্দক্রম উল্লেখ করে দেবে
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.