- সিউর সাকসেস স্কুল এন্ড ক্যাডেট কোচিং এর অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত - October 19, 2024
- A large public meeting was held at Dhanbari on the initiative of BNPMd. - October 19, 2024
- BNP initiative in Dhanbari to pray for the souls of those martyred in the mass uprising - October 19, 2024
লাগামহীনভাবে দাম বাড়তে থাকা পেঁয়াজের বাজার খুব শিগগিরই স্বাভাবিক হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘দেশে আরও ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আসছে। সেগুলো আসলেই পেঁয়াজের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।’
শুক্রবার দুপুরে ভোলা সদরের ইলিশা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশে হু হু করে বাড়তে থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির। ৩০ টাকা কেজির পেঁয়াজ কয়েক দিনেই ব্যবধানেই বেড়ে শতক ছাড়ায়।
দাম কমাতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে সরকার। এছাড়া টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি এবং আড়তগুলোতে অভিযানের পর দাম কিছুটা কমলেও পরে আবার দাম বাড়তে শুরু করে।
এরপর তুরস্ক ও মিশর থেকে আরও আমদানি করে দাম ৮৫ টাকায় নামিয়ে আনার আশা দেখালেও তা তো ঘটেইনি; উল্টো লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বেড়ে দুই শ ছাড়িয়ে যায়। শুক্রবার দুপুরে কেজিতে দাম বেড়ে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়।
খুব শিগগিরিই পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশে আরও ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আসছে। এসব পেঁয়াজ আসলেই বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
ভোলা-১ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমরা বার্ষিক চাহিদা উৎপাদন ও ঘাটতি কত তা নিরুপণ করি। এরপর আমদানি করি। কিন্তু এবছর সেটি ঠিকভাবে নিরুপণ করতে পারি নাই। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় বুলবুলেও একটা প্রভাব পড়েছে। অপরদিকে ভারত থেকে আমরা সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করি। কিন্তু ভারত এবছর সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদন কম হয়েছে। এসব মিলেই পেঁয়াজের বাজারে একটা প্রভাব পড়েছে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি যখন বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম তখন বাৎসরিক চাহিদা, উৎপাদন ও ঘাটতি নিরুপণ করেই ৪-৫ মাস পূর্বে পদক্ষেপ নেয়া হতো। কিন্তু এ বছর হয়ত সেটি আমরা ঠিকভাবে অনুমান করতে পারিনি। এ থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে হবে।’
এ সময় বিএনপিকে নিয়েও কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ। বলেন, ‘বিএনপি সম্পর্কে তাদের দলীয় নেতাকর্মীদেরও ধারণা খুব খারাপ। কারণ বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতি মালায় কারাগারে। তার ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত নেতা সেও সাজাপ্রাপ্ত। একটা দল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নেতার নেতৃত্বে চলতে পারে না। এবং দলের নির্দেশ আসে লন্ডন থেকে। এটি নিয়ে সিনিয়র অনেক নেতাও খুব বিব্রত। কারণ সে ছেলের বয়সও অনেক কম। এ নিয়ে রাগে ক্ষোভে প্রবীণ অনেক নেতা পদত্যাগ করতে পারেন। সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।’
পরে তোফায়েল আহমেদ ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ছয় হাজার টাকা, দুই বান্ডিল করে ঢেউটিন ও ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন।
এ সময় ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়ছার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ দলীয় অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.