বাঘায় বিএনপির নতুন কমিটিতে পদের দৌড়-ঝাপ শুরূ

নতুন কমিটিতে সভাপতি হতে চাইছেন বর্তমান আহবায়ক কমিটির আহবায়ক,সাবেক সভাপতি,সাবেক ছাত্রনেতা প্রভাষক জাহাঙ্গীর হোসেন,বর্তমান কমিটির যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান খান মানিক,যুগ্ন আহবায়ক ও সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চাঁদসহ আরও দুই -একজন সিনিয়র নেতা।সাধারন সম্পাদক হতে চাইছেন দলের যুগ্ন আহবায়ক,সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন,আরেক যুগ্ন আহবায়ক ও যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মুখলেছুর রহমান মুকুল,পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক সুরুজ্জামান সুরুজসহ আরো কয়েকজন নেতা।

    অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,আমি সব সময় আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে থেকেছি।আমাকে যদি পুনরায় সভাপতি পদে দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে দলের হাই কমান্ডের নির্দেশ মোতাবেক সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে হলেও আন্দোলন -সংগ্রামে আমি দলের সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করব।

নুরুজ্জামান খান মানিক বলেন,তৃূর্নমূল নেতাকর্মীদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দলের দুঃসময়ে সক্রিয় ভাবে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।এবারও আমাকে যোগ্য মনে করে যদি দায়িত্ব দেয় তাহলে আমি তাদের সেই আস্থার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করব।সাইফুল ইসলাম চাঁদ বলেন,নেতা-কর্মীরা চাইলে দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

যুগ্ন আহবায়ক প্রার্থী ও বর্তমান কমিটির যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,দলকে সুন্দর ও শক্তিশালী করতে হলে দলের ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে।দলের দুঃসময়ে যারা মাঠে ছিলেন তাদের প্রাধান্য দিতে হবে।যুবদলের সাধারন সম্পাদক মুখলেছুর রহমান মূকুল বলেন,আগে ছাত্রদল ও যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও এখন বিএনপি করি।আন্দোলন-সংগ্রামে সব সময় আমি মাঠে থেকেছি।তাই চাই,তৃর্নমুল পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেই যেন বাঘা উপজেলা বিএনপির কমিটি করা হয়।সুরুজ্জামান সুরুজ বলেন,দলে সক্রিয় থেকে পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।সেই থেকে দলের নেতা কর্মীদের কাছ থেকে মূল্যায়ন পাবো।এ ভাবে আরও কয়েক পদ প্রত্যাশি বিএনপি নেতা অভিন্ন মতামত প্রকাশ করেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে,২০০৯ সালে  সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন নুরুজ্জামান খান মানিক,সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চাঁদ।আগের সেই কমিটি বিলুপ্ত করে ২০১৭ সালের ৫ই জুন বাঘা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।সে সময় বয়েজুল ইসলাম খান আহবায়ক ও আশাফুজ দৌলাকে সদস্য সচিব করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।বাঘা উপজেলার বিএনপির মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে এ আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।কমিটিতে বহিষ্কৃত,দলত্যাগ করে ফিরে আসা ও যুব দলের নেতারা স্থান পেলেও বাদ পড়েন বিএনপির মূলধারার ত্যাগী নেতারা।একই বছরের ১১ অক্টোবর (১১-১০-১৭) সেই সময়ের জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু ও সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান মন্টুর যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বয়েজুল ইসলাম খানকে বাদ দিয়ে রাজশাহী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর হোসেনকে আহবায়ক করা হয়।পূর্বের আহবায়ক কমিটি স্ব-পদে বহাল থাকেন যুগ্ন আহবায়ক ও সদস্য বৃন্দ।পাশা পাশি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অরাজনৈতিক কার্যক্রমের কারনে বিএনপির বাঘা উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।কিন্তু গত দুই বছরেও দলটিতে গতি নেই।দলের কর্মসূচি নিয়ে কয়েক জন নেতাকে মাঠে দেখা পেলেও বেশীর ভাগই ছিল নিষক্রিয়।

   বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পছন্দ -অপছন্দকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনে হিমশিম খেতে হয়েছে।সিনিয়র নেতাদের পছন্দের পাত্রদের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদসহ গুরুত্বপূর্ন বিভিন্ন পদ পাইয়ে দিয়ে নিজেদের গ্রুপ শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন।একটি সূত্র জানিয়েছে,বাঘা উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন কমিটি গঠনে রুপরেখা তৈরী করেছে রাজশাহী জেলা কমিটির নেতারা।নতুন করে আহবায়ক কমিটি গঠন করে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পূর্নাঙ্গ নতুন কমিটি ঘোষনা দেবেন তারা।আগামী ০৩ \০৯\২০১৯ তারিকে বাঘা উপজেলা ও বাঘা পৌরসভার আহবায়ক কমিটি গঠনের ঘোষনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জেলা কমিটির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ।