- BNP initiative in Dhanbari to pray for the souls of those martyred in the mass uprising - October 19, 2024
- The story of Idris Ali, a humanitarian police inspector of Dhanbari police station - October 19, 2024
- গণঅভ্যুত্থানে শাহাদৎ বরণকারীদের রুহের মাগফিরাত কামনা ধনবাড়ীতে বিএনপির উদ্যোগে - October 19, 2024
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার। আল-আরাফাহ ব্যাংকের পান্থপথ শাখায় এক লাখ টাকার চেক জমা দেওয়ার পর ৫০০ টাকার দুটি বান্ডেল দেওয়া হয়। গত ঈদের আগে এই ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলে কম পেয়েছিলেন। তাই কাউন্টারের সামনেই প্রতিটি নোট পরীক্ষা করে নিচ্ছিলেন। এ সময় একটি বান্ডেলে একটি ২০ টাকা ও একটি ৫০ টাকার নোট পেয়ে হতভম্ভ হয়ে যান।
ক্যাশ কাউন্টারে বিষয়টি দেখান শাহেদ। যান ব্যাংক ব্যবস্থাপকের কাছে। অভিযোগ, তাকে টাকা গুণে দেখতে বলায় খারাপ আচরণ করেছেন।
ঢাকাটাইমসের কাছে ঘটনাটির এমন বর্ণনা দেন শাহেদ। বলেন, ‘একদম ইনটেক্ট বান্ডেল পিন দিয়ে আটকানো ছিল। সঙ্গে সঙ্গেই আমি গুনতে শুরু করলাম। গুনে দেখি ৫০০ টাকার একটি বান্ডেলের ভেতর একটা ২০ টাকা আর একটা ৫০ টাকার নোট। এরপর ম্যানেজারকে গুনতে বলেছি। কিন্তু তিনি রেগে গেলেন। ৫০ জন স্টাফ থাকার পরও কেনো তাকে গুনতে দিলাম সেজন্য আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে থাকেন।’
স্মার্টফোন আর তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে গ্রাহকরা ঠকলে মানবেন কেন? ব্যাংক ব্যবস্থাপকের ‘অগ্রহণযোগ্য’ আচরণের পর পর বের করলেন মোবাইল ফোন, ধারণ করতে থাকেন ভিডিও। আর এ দেখে ব্যবস্থাপকের আচরণ পাল্টে যায়। তবে ভিডিও করার সময় শাহেদকে ব্যাংক কর্মীদের নানা কটু কথা শুনতে হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
ম্যানেজার কী বলেছেন, এ বিষয়ে- জানতে চাইলে শাহেদ ওসমান বলেন, ‘নানা অজুহাত। সেই ম্যানেজার আরেক ম্যানেজার ও ক্যাশ কাউন্টারের লোকদের ডেকে নিয়ে আসেন। পরে ক্যাশের কর্মীরা দাবি করেন, কয়েক দিন আগে এক ডিলার টাকা জমা দিয়েছে। সেখানে এমন হতে পারে বলে ধারণা তাদের।’
শাহেদ ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করার পর তা ছড়িয়ে পড়েছে। আর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাকে ফোন দিয়ে সমস্যার ব্যাপারে জানতে চাওয়াও হয়েছে। তবে ব্যাংকের পক্ষ হয়ে ভিডিওটি মুছে দিতে একাধিক ব্যক্তি চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন এই ব্যবসায়ী।
শাহেদ ওসমান বলেন, ‘আমার বাড়িওয়ালাকে দিয়ে পর্যন্ত ভিডিও ডিলিট করতে বলছে। কিছুক্ষণ পর পরই কেউ না কেউ ফোন দিয়ে এটি ডিলিট করতে বলছে।’
সম্প্রতি একই ব্যাংকের একই শাখার এটিএম বুথ থেকে ৮০ হাজার টাকা উঠানোর পর টাকা কম পেয়েছেন বলেও জানান এই ব্যবসায়ী।
“ঈদের আগে ব্যাংক বন্ধ হওয়ার আগে গরু কেনার জন্য ৯ তারিখ এবং ১০ তারিখ এই দুই দিন আলাদাভাবে একই শাখার নিচের এটিএম বুথ থেকে কার্ড দিয়ে ৪০ হাজার করে ৮০ হাজার টাকা তুলি। কিন্তু দেড় হাজার টাকা কম পেয়েছি। তখনই ব্যাংকে জানালাম। তারা বলল, ‘এখন কিছু করার নেই’। ঈদের পর অভিযোগ করেন। কিন্তু দেখি আমার মোবাইল মেসেজ ও ব্যাংক স্টেটমেন্টেও টাকার পরিমাণ ঠিক দেখাচ্ছে। তারপর ঈদের পর অভিযোগ করি। কিন্তু এখনো টাকা ফেরত দেয়নি।”
শাহেদ জানান, তিনি এতদিন টাকা গুনে নিতেন না। কিন্তু কয়েক দিনের ব্যবধানে দুবার এমন ঘটনায় ভাবছেন, এর আগে না জানি কতবার ঠকেছেন।
‘আমার সাথে দুবারই এমন হলো। এর আগে তো না গুনেই নিয়েছি। অনেক সময় খেয়ালও করিনি। অন্য গ্রাহকদের সঙ্গে কেমন হচ্ছে কে জানে?’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আল আরাফাহ ব্যাংকের ফার্স্ট অ্যাসিসটেন্স ভাইস প্রেসিডেন্ট হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ব্যাপারটি তখনই সমাধান হয়ে গেছে। এখন আর কী’ এটিএম বুথ থেকে দেড় হাজার টাকা কম পাওয়ার বিষয়টি হাফিজুর রহমান জানেন না বলে জানান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.