- The story of Idris Ali, a humanitarian police inspector of Dhanbari police station - October 19, 2024
- গণঅভ্যুত্থানে শাহাদৎ বরণকারীদের রুহের মাগফিরাত কামনা ধনবাড়ীতে বিএনপির উদ্যোগে - October 19, 2024
- কাজীপুর জবর দখলকৃত জমিতে রোপন করা ফসল নষ্ট করে উল্টো প্রকৃত জমির মালিককে ফাসানোর চেষ্টা - October 18, 2024
১৯৯৩ সাল। মশায় অতিষ্ঠ রংপুরবাসী। মশার উপদ্রব যখন থামছিল না তখন উদ্ভট এক ঘোষণা দিয়ে বসলেন তৎকালীন রংপুর পৌরসভার মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু। যারা ৫০০ মশা জমা দেবেন তাদের জন্য ১০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন মেয়র। ঝন্টুর এমন ঘোষণা সারাদেশে হাস্যরসের সৃষ্টি করলেও তাতে অনেকটা কাজ হয়েছিল। মাত্র ১৫ দিনে রংপুরে মশার প্রকোপ অনেক কমে গিয়েছিল। সেই ঝন্টু পরবর্তী সময়ে রংপুর সিটির প্রথম নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সম্প্রতি মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার জীবচক্রের কারণে বাইরে ওষুধ ছিটিয়েও এর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মশা মারতে যে ওষুধ ব্যবহার করছে তা অকার্যকর বলে প্রমাণিত করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। এমন পরিস্থিতিতে রংপুর সিটির প্রয়াত মেয়র ঝন্টু মডেলকে স্মরণ করিয়ে দেন তার ছেলে রিয়াজ হিমন।
গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে তিনি বাবার নেওয়া সেই উদ্ভট ঘোষণার কথা স্মরণ করেন। রিয়াজ হিমন লেখেন-
‘৯৩ সালে রংপুরে একবার মশার প্রকোপ অনেক বেড়ে গেল। তখন আব্বা মাত্র সিটি (তখন পৌরসভা) মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আব্বা তখন উদ্ভট এক ঘোষণা দিলেন ‘৫০০ মশা ১০০ টাকা!’ হ্যাঁ আপনাদের মতোই সবাই অবাক হয়েছিল।
বাট ইট ওয়াজ হিউজ ইফেক্টিভ। পাড়ায়-মহল্লায় মশা মারার ধুম পড়ে যায়। সবাই গামলায়, বালতিতে যে যেটাতে পারে তেল মেখে ড্রেন, খাল, ডোবা যেখানে মশা বেশি সেখানে একটান দিত একবারে হাজার হাজার মশা গামলায় ধরা পড়ত। ১৫ দিনে সত্যি সত্যি মশার প্রকোপ উধাও হয়ে গিয়েছিল!
বিবিসি থেকে আমাদের বাসায় প্রতিনিধি আসলো আব্বার ইন্টারভিউ নিতে যে, এই উদ্ভট ঘোষণার কারণ কী?
আব্বা বলেছিলেন, দেখুন জেলখানা থেকে নির্বাচন করার পরও মানুষ আমাকে সবগুলো সেন্টারে প্রথম করেছে। আমার কাছে তাদের প্রত্যাশা আকাশচুম্বি। এই সরকার আমাকে এক টাকাও দেয় না।
ট্যাক্স আর ট্রেডের টাকা দিয়ে আমি বেতন দেই। আমার কাছে যে টাকা আর ম্যানপাওয়ার আছে তা দিয়ে ১৫টি ওয়ার্ড কেন ১টি ওয়ার্ডের মশাও মারা সম্ভব না। আর যাকে দিয়ে ওষুধ কেনাব সেই বেশিরভাগ মেরে দেয়! তাই সবাইকে যতক্ষণ না আমি উদ্বুদ্ধ করতে পারব মশা মারা সম্ভব না।
আমি হিসাব করে দেখেছি, রংপুর পৌরসভায় ১০০টির মতো ক্লাব আছে ওদের ব্যাট বল প্রয়োজন আর যারা মশা মেরে মেরে আনছে তার বেশিরভাগই ছোট ছোট ক্লাবের ছেলেরা আমি ওদের টাকার পরিবর্তে ব্যাট বল দিচ্ছি ওরা তাতেই খুশি। আর রংপুর পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব তো আমাদের সবার।’
ফেসবুক থেকে নেয়া