ফিনল্যান্ডে ঈদুল আজহা উদযাপন

0
জামান সরকার, হেলসিংকি থেকে

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ফিনল্যান্ডে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন মুসলমানরা। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে ফিনল্যান্ডের প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলমানরা সমবেত হন ঈদের জামাতে।

ইসলামী রীতি অনুযায়ী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায় রাজধানী হেলসিংকির হাকানিয়েমির পাল্লোহাল্লীতে। এতে ইমামতি করেন দারুল আমান মসজিদের খতিব মো. আবদুল কুদ্দুস খান এবং দ্বিতীয় জামাতটি অনুষ্ঠিত হয় ৯.৪৫ মিনিটে। এতে ইমামতি করেন মো. নুর আলম।

এছাড়া সকাল ৯টায় ভানতার কাম্পো স্পোর্টসসেন্টার মিলনায়তনে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব বশির আহমেদের ইমামতিতে আরেকটি জামাতটি অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদের জামাত শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। ফিনল্যান্ডের সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা জামাতে দুটিতে অংশ নেন।

ফিনল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন জামাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ছিলেন মো. আবদুস সালাম, আবদুল ওয়াদূদ, মো. জাকির হোসেন, জামান সরকার, রিয়াজ সহিদ, মো. মাসুম, মো. বাহারুল ইসলাম, আজাদ আবুল কালাম, কামরুল আলম কমল, লিমন চৌধূরী, নাসির খান, জহুরুল ইসলাম সিকদার, রফিকুল হায়দার টিপু, নাসিরউদ্দিন খান, সাইফুর রহমান সাইফ,  মো. জাফর, মো. নুরু আলম, নাজমুল হাসান লিটন, লাবিব হাসান, মবিন মোহাম্মদ, রুবেল ভূঁইয়া, মোকলেসুর রহমান চপল, সাহিন মোহাম্মদ, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, এম এ হারুন, খালেদুল ইসলাম জিতু, সাইফুর রহমান সাইফ, মো. এম ইসলাম সোহাগ, সারমান আজাদ তাসিন, মো. মাসুম, নাসিরউদ্দিন মজুমদার, মো. সিরাজ, খোকন, সামসুল গাজী, মহসীন, মিজানুর রহমান মিঠু, জামিল, মো. মিয়াজি, আরিফ হক, এম এ হান্নান, মাসুদ আবদুল্লাহ, বদরুম মুনীর ফেরদৌস, সেলিম মীর, তানভীর আহমেদ, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, সাজ্জাদ মুন্না, ফাহমিদ উস সালহীন প্রমুখ।

বরাবরের মত এবারেও বাঙালিদের ঈদ উৎসবে ছিল বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি খাবার, একে অপরের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়া, মাতৃভূমি বাংলাদেশে টেলিফোন করে পরিবারের ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও খোঁজ-খবর নেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। ঈদের এই আনন্দে একে অপরের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়ার রেওয়াজ একাধারে ৩-৪ দিন চলতে থাকে।

মোটকথা মাতৃভূমির মায়া আর দেশে ফেলে আসা স্বজনদের জন্য ভালবাসা বুকে চেপে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসীরা সবাই পরষ্পর ভাগাভাগি করছেন আনন্দ। সুযোগ মতো ফোনে, ফেসবুকে, স্কাইপে যোগাযোগ হচ্ছে নিজ নিজ দেশে। অনেকেই অশ্রুসজল হয়ে পড়ছেন শয্যাশায়ী মা-বাবার জন্য, কেউ সন্তানের কচিমুখ মনে করে চোখ মুছছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সবাই হাসিমুখেই উদযাপন করছেন ঈদকে।

Leave A Reply