- কাজীপুর জবর দখলকৃত জমিতে রোপন করা ফসল নষ্ট করে উল্টো প্রকৃত জমির মালিককে ফাসানোর চেষ্টা - October 18, 2024
- ধনবাড়ীতে ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল জনসভা - October 18, 2024
- ঢাঙ্গীপুকুর আদর্শ গ্রাম নূরানী মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন - October 18, 2024
আমাদের সমাজে নগ্নতাকে নিকৃষ্টতম বিষয় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অথচ পশ্চিমা বিশ্বে এটি যেন খুবই সাধারণ ব্যাপার। পৃথিবীতে এমন একটি দেশ রয়েছে যেখানে নগ্নতা আইনগত ভাবে বৈধ। খোলা রাস্তায় বুলন, আর প্রকাশ্য দিবালোকে! ইউরোপে ন্যুড বিচের জন্য খ্যাতি রয়েছে স্পেনের। কিন্তু তাই বলে শহরের রাস্তায় নগ্নতার মিছিলও যে এখানে একটা নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার, তা একবার স্বচক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।
স্পেনে প্রকাশ্য নগ্নতা রীতিমতো আইনসিদ্ধ। বেশিরভাগ দেশে যেখানে সমুদ্র সৈকতই একমাত্র নগ্ন হওয়ার প্রকাশ্য স্থান, সেখানে স্পেনে যে কোন পাবলিক প্লেসেই নগ্নতা সিদ্ধ ব্যাপার। ১৯৬০-এর দশকে ন্যুডিস্ট আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র ছিল স্পেন। প্রকৃতিবাদি হিপি-রা এক প্রকার বিদ্রোহ করেই ত্যাগ করেন তাদের পোষাক-আশাক।
এ নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন তখন ছিল নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। তার পরে ঘটনা গড়ায় অনেক দূর। অবশেষে, ১৯৭৮ সালে এক সংবিধান সংশোধনী দ্বারা প্রকাশ্য স্থানে নগ্ন বিচরণকে স্বীকৃতি দেয় স্পেন সরকার। বলা হয়, নগ্নতা মানুষের এমন এক অধিকার, যা থেকে তাকে সরিয়ে রাখা যায় না।তবে স্পেনের একটি শহরে আজও প্রকাশ্যে নগ্নতা নিষিদ্ধ। সেই শহরটি হল বার্সেলোনা। বাকি শহরে নগ্নতা একেবারেই আইনি ব্যাপার। স্পেনের ন্যুডিস্ট ফেডারেশন একথা তাদের ম্যনিফেস্টো-য় জানিয়েই রেখেছেন যে, নগ্নতা একজন মানুষের স্বাভাবিক অধিকারের মধ্য পড়ে। প্রকাশ্য নগ্নতা লিঙ্গবৈষম্য, যৌনহিংসা ইত্যাদিকে প্রতিহত করে। একজন নগ্ন মানুষের লুকোনোর কিছুই নেই। তার শরীরকে প্রকৃতি যে রূপে গড়েছে, তিনি সাহসের সঙ্গে সেটাই সবার সামনে তুলে ধরুন।