কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ব্রিজ দেবে যাওয়ায় ভোগান্তিতে দুই গ্রামের মানুষ

0

 

সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর বড়লই ওয়াপদা বাজার সংলগ্ন একটি ব্রিজ দেবে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চর বড়ভিটা ও চর বড়লই গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। বর্ষায় ব্রিজটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় কলাগাছের ভেলা এখন গ্রাম দু’টির মানুষের একমাত্র ভরসা। ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যার প্রবল ¯্রােতে ব্রিজটি প্রায় ৮ ফুট দেবে যায়। ব্রিজটি দেবে যাওয়ার কারণে শুষ্ক ও বর্ষা উভয় মৌসুমে চরম ভোগান্তির কবলে পড়ছে এখানকার মানুষ। মধ্য চর বড়ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য বড়ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চর বড়লই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদেরও পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। শুষ্ক মৌসুমে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে কোন যানবাহন পারাপার না হওয়ায় পায়ে হেঁটেই তাদের বিদ্যালয়ে যেতে হয়।

বর্ষার সময় ব্রিজটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় তাদের বিপদ আরও বেড়ে যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলাগাছের ভেলায় চড়ে তাদের পারাপার হতে হয়। বিশেষ করে ছোট শিশু শিক্ষার্থীদের পারাপার চরম ঝুঁকিপূর্ণ। তাই অনেক বাবা মা এ সময় তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। বড়ভিটা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড চর বড়লই গ্রামের সাবেক মেম্বার নজরুল ইসলাম (৫০) জানান, ব্রিজটির কারণে দু’টি গ্রামের মানুষ তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য পায় না। কারণ নিকটবর্তী বড়ভিটা, বড়লই, খড়িবাড়ী ও ফুলবাড়ী বাজারে যাওয়ার এটিই গ্রাম দু’টির একমাত্র পথ। গ্রামে সরাসরি কোন যানবাহন প্রবেশ করতে না পারার কারণে কৃষি পণ্য বাজারজাত করা যেমন কষ্ট সাধ্য তেমনি ব্যয়বহুল। চর বড়লই গ্রামের সোলজার আলী (৪০) জানান, বড়ভিটা বড়লইয়ের মানুষ এই পথে কাউয়াহাকা ফাঁড়ি ঘাট দিয়ে কুড়িগ্রাম সদরের কাঠালবাড়ী হাটে পণ্য বিকিকিনি করতে যেত। ব্রিজটি দেবে যাওয়ায় এখান পাইকার আর কৃষকরা কাঠালবাড়ী হাটে যেতে পারছেন না। চর বড়ভিটা গ্রামের দন্ত চিকিৎসক আব্দুর রহমান (৫০) জানান, এখানকার গ্রাম দু’টির মানুষের দুর্দশার কারণ এই ব্রিজটি। এটি ভেঙ্গে ফেলে এখানে নতুন করে ব্রিজ অথবা বাঁধ নির্মাণ করলে গ্রাম দু’টিতে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে আসবে। চর বড়লই গ্রামের নূর হোসেন (৬০), আমজাদ আলী (৫০), কাশেম আলী (৫২) ও আকবর আলী (৪৫) জানান, ব্রিজটির কারণে আমাদের কষ্টের সীমা নাই। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি ভেঙ্গে ফেলে এখানে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তারা।

Leave A Reply