বগুড়ার শেরপুরে বৃষ্টি হলেই রাস্তা জলাশয়ে পরিণত

0

সেলিম রেজা, স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ঃ বগুড়া শেরপুর মহাসড়ক থেকে পূর্ব পার্শ্বে বৈকাল বাজার রাস্তাটি একটু মাঝারি কিংবা ভারী বৃষ্টিপাত হলেই জলাশয়ে পরিণত হয়। মুন-ইরাফি গার্ডেন সিটি মার্কেটের সামনের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার পথচারী, ছাত্র/ছাত্রী, নারী- পুরুষ, ব্যবসায়ী সহ ছোট ও মাঝারি আকারের বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি বর্ষণে শহরের বেশ কিছু এলাকার পাশাপাশি এই রাস্তা দিয়ে নাগরিকদের চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবুও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে নিয়মিতভাবে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে। রাস্তাটির আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হওয়ার সুবাদে শেরপুর শহর সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত মানুষের কাছে এই রাস্তাটি চলাচলের জন্য অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা এখানে বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী, ব্যাংকিং সুবিধা সহ শপিং করার জন্য মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে। রাস্তাটিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে আগত পথচারীরা রাস্তার দু পাশে থাকা ময়লা আবর্জনার মধ্য দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে। রাস্তার দুপাশে দোকানে বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী কেনাকাটার জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই নানা দূর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে পথচারীদের চলাফেরা করার সময় যাতায়াতকৃত যানবাহনের দ্বারা ময়লাযুক্ত পানি এসে পথচারীদের কাপড়কে নষ্ট করে দিচ্ছে। পানি নিষ্কাশন বা ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই নোংরা পানি স্কুল কলেজে যাওয়া শিক্ষার্থী এবং মসজিদে যাওয়ার পথে মুসল্লিদের শরীরে লেগে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাছে। একারণে শিক্ষার্থী, পথচারী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ নির্দিষ্ট সময়ে তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে পারছে না।

এ ব্যাপারে শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ আব্দুস সাত্তার বলেন, পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় মাস্টার ড্রেনের কাজ চলছে। ড্রেনের কাজ শেষ হলেই আশা করি এই দুর্ভোগ আর থাকবে না । মাস্টার ড্রেনের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সকলকেই সহযোগিতা করতে হবে।

Leave A Reply