হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ছনের ঘর

0

মতিউর রহমান,সরিষাবাড়ি,জামালপুরঃ ্র”কালের বিবর্তন ও মানুষের জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন এবং বৈজ্ঞানিক নব নব আবিষ্কারে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ক্রমাগত উন্নিত হওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বংলার খেটে খাওয়া মানুষের নিশিথের আশ্রম ছনের কুড়ে ঘর। এক সময় গোয়াল ভরা গরু, গোলা ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ আর গাছে পাকা আম,জাম, কাঁঠাল, কলা, প্রভৃতি ফল ফলাদিতে ভরপুর ছিল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি পরিবার গুলোতে। এখন আর তেমনটি দেখা যায় না। দেখা যায় না চৈত্র মাসে অলস দুপুরে গ্রামের মেঠো পথের ধারে গাছের ছায়ে গামছা বিছিয়ে তাস খেলার দৃশ্য। দেখা মিলে না মাটিতে দাগ কেটে ৩২ কিংবা ৬৪ গুটি খেলা। এ সব হারিয়ে যাওয়া মনোরঞ্জন খেলার পাশাপাশি আজ দেখা মিলে না গ্রাম বাংলার দুঃখী মানুষের বাসকৃত ছনের কুড়ে ঘর।

গ্রামে প্রবাদ রয়েছে ছনের ঘর নয় এটা গরীবের এসি ঘর। অর্থাৎ ছনের ঘরে বসবাসকারিগণ মনে করেন অত্যন্ত খরতাপে ছনের ঘর শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত আবার শীত কালে অত্যন্ত ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার মোক্ষম বিষয় ছনের ঘর। অনেক ধনাঢ়্য পরিবার খরতাপ থেকে রক্ষা পেতে এবং চৈত্র দুপুরে বিশ্রামের জন্য ছনের কাচারী (বিশ্রামাগার) ঘর তৈরী করে ওখানেই দিব্যি আরাম আয়েশে সময় কাটাতেন। কিন্তু গ্রামের হৃত দরিদ্র, দরিদ্র কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর একমাত্র আশ্রম ছিল ছনের ঘর। বাঁশের খুটি এবং চাটাই কিংবা বাঁশের শলাকা দিয়ে তৈরী দু চালা বা চার চালা ঘরের ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করা হতো ছন। দুই বা তিন যুগ আগেও গ্রাম বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা মিলতো ছনের আক। এখন আর দেখা মিলে না। কোন কোন পাহাড়ি অঞ্চলে মাঝে মধ্যে দেখা মিলে ছনের আক এর।

ছনের ঘরে বাস করলে অত্যন্ত গরমেও অতিষ্ট হওয়ার বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, তেমনি প্রচন্ড শীতেও অনুমেয় নয় কনকনে ঠান্ডার। ছনের ঘরে যেমন আরাম দায়ক ঘুম হয় তেমনি এ ঘর তৈরী করতেও নির্মান ব্যয় কম। সম্প্রতি রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় এলাকা ঘুরে দু, একটি ছনের ঘর চোখে পড়ে। আর এতেই সকালের সময় প্রতিনিধি ভ্রমন পিপাসু ডা. মতিউর রহমানের ক্যামেরায় বন্ধী হয় ছনের কুড়ে ঘর।

Leave A Reply