টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
- বান্দরবানে কয়েকশত কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির মালিক হেডম্যান মংথোয়াই চিং - September 20, 2024
- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
মেহেদী হাসান টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় মুকুল আকন্দ (৫২) নামের একজনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়িত্বরত হাসপাতালের কর্মকর্তা ও ইর্ন্টানিরত শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবার লোকজন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের ছোট ভাই হুমায়ন আকন্দ রশিদ সোনা।
সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ন আকন্দ রশিদ সোনা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটা দিকে শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বড় ভাই মুকুল আকন্দকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৪নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ভাইকে রেফার্ড করে। আমার পরিবারের লোকজন এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে গেলে কর্তব্যরত সজিব নামের ডাক্তার অক্সিজেন খুলে দেয়। বার বার অনুরোধ করার পরও সে অক্সিজেন আর দেয়নি। অক্সিজেন দিতে অস্বীকৃতি জানায় কর্তব্যরত স্টাফরা। এর পর ছটফট করতে করতে মারা যায়। এর প্রতিবাদ করলে পরিবারের সদস্যদের একটি কক্ষে আটকে রেখে ডা. সজিবের নেতৃত্বে ১৫-২০ স্টাফ ও ইন্টার্নীরত শিক্ষার্থীরা আমাকে, নিহতে বড় ছেলে মাসুদ আকন্দ, মেঝো ছেলে রাসেল আকন্দ, নিহতের বউ হাসিনা বেগম, ভাগ্নে মিলন আকন্দ, ভাগ্নি মুক্তি, ভগ্নিপতি শামুসর রহমান এবং প্রতিবেশি শাহাদত হোসেনকে মারধর করে। এর পর ডাক্তার, স্টাফ ও ইন্টার্নিরত শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে আমরা লাশ নিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ও টাঙ্গাইল প্রেমক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করি। আজ শুক্রবার আমার বড় ভাইয়ের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকদের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার কারনে আমার মতো আর কারো যেন ভাই হারাতে না হয় সেই কামনা করছি। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে ও আটককৃতদের উদ্ধার করে।
তবে এ ঘটনায় ডা. সজিবের অভিযোগ রোগীর স্বজনরা চরাও হয়ে তাদের চিকিৎসক ও ইর্ন্টানি শিক্ষার্থীদের মারপিট করেছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি সায়েদুর রহমান বলেন, এ সংবাদ পেয়ে দ্রুত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে এ ঘটনায় এখনও থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি ।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পরিবারে লোকজন ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।