Latest posts by সম্পাদনা: এস.এম আব্দুর রাজ্জাক (see all)
- কাজীপুর জবর দখলকৃত জমিতে রোপন করা ফসল নষ্ট করে উল্টো প্রকৃত জমির মালিককে ফাসানোর চেষ্টা - October 18, 2024
- ধনবাড়ীতে ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল জনসভা - October 18, 2024
- ঢাঙ্গীপুকুর আদর্শ গ্রাম নূরানী মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন - October 18, 2024
লেখকঃ আবু হানিফ
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা৷
বছর ঘুরে আমাদের মাঝে আবার ও এসেছে পবিত্র মাহে রমযান । রমযান মাস হিজরি সনের নবম মাস, অন্যান্য মাসের চেয়ে বেশি মর্যাদার মাস । রমযান মাস হলো আত্মশুদ্বির মাস, সংযমের মাস, কুরআন নাযিলের মাস, কুরআন পঠন-পাঠন , শ্রবণ ও চিন্তার মাস, রহমত, বরকত, দোযখ থেকে মুক্তির মাস, তারাবীর মাস , লাইলাতুল কদরের রাত্রির মাস, কিয়ামুল লাইল সাধনার মাস, বাক সংযম ও পাপ সংযমের মাস, ভালোবাসা ও দান বিতরণের মাস , গুনাহ থেকে ফিরে আসার মাস ।
এই রমযান মাসে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাকে বছরে একটি মাসেই এই অসংখ্য ও অগনীত নেয়ামতরাজি দান করেন । অফুরন্ত নেকী ও কল্যাণের ঢালি সাজিয়ে রেখেছেন । এই মাসে সিয়াম পালন করা ফরয করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ তায়ালা তার ঈমানদার বান্দাদের উপর ।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন- “হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের উপর রমযানের রোযা ফরয করা হয়েছে , যেমনিভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর , যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পার । (সূরা বাকারা:১৮৩)। এ আয়াত থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, রমযানের রোযা শুধু মাত্র ঈমানদারগণের ওপর ফরয , বেইমান, কাফির, মুশরীক বা মুনাফিকদের ওপর রোযা ফরয নয়।
রাসূল (সা:) রমযানের দুই মাস আগে থেকেই রমযানের রোযা রাখার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠতেন । এ মাস তিনটি বিশেষ কারণে মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে । এক. সিয়াম, দুই .কুরআনুল কারিম নাযিল, তিন.লাইলাতুল কদর নাযিল ।
এই তিনটি বৈশিষ্ট্য শুধুই রমযান মাসের জন্য রয়েছে । রাসূল (সা:) রমযান মাসকে স্বাগত জানিয়ে ভাষণ দিতেন । হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূল (সা:) সাহাবীদের কে এ মর্মে সুসংবাদ ঘোষণা দিতেন ” তোমাদের সমীপে রমযান মাস এসেছে । এটি এক মোবারক মাস । আল্লাহ তায়ালা এ মাসে তোমাদের উপর রোযা ফরয করেছেন ।
এতে জান্নাতের দ্বার খোলা হয় ।
জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় । শয়তানকে বাঁধা হয় শেকলে । এ মাসে একটি রজনী রয়েছে, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম । যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে যেনো যাবতীয় কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো । ” (সুনানে নাসায়ী: ২৪২৭) ।
রমযান মাসে বেশি বেশি নেক আমল, তারাবী, তসবিহ- তাহলিল , দোয়া , জিকির- আজকার, দান – সদকা, তাহাজ্জুত, কুরআন তিলওয়াত , ইফতার করানো সম্ভব হলে যত বেশি নেক আমল পারা যায় ততই লাভ। আল্লাহ আমাদেরকে রমযানে রোযা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর অশেষ রহমত লাভ করতে পারি সেই তৌফিক দান করুন, আমিন ।