“এলো যে মাহে রমযান”

0
লেখকঃ আবু হানিফ
 ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা৷
বছর ঘুরে আমাদের মাঝে আবার ও এসেছে পবিত্র মাহে রমযান । রমযান মাস হিজরি সনের নবম মাস, অন্যান্য মাসের চেয়ে  বেশি মর্যাদার   মাস । রমযান মাস হলো আত্মশুদ্বির মাস, সংযমের মাস, কুরআন নাযিলের মাস, কুরআন পঠন-পাঠন ,  শ্রবণ  ও চিন্তার মাস, রহমত, বরকত, দোযখ থেকে মুক্তির মাস, তারাবীর মাস  , লাইলাতুল কদরের রাত্রির মাস, কিয়ামুল লাইল সাধনার মাস, বাক সংযম ও পাপ সংযমের মাস, ভালোবাসা ও দান বিতরণের মাস , গুনাহ থেকে ফিরে আসার মাস ।
 এই রমযান মাসে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাকে বছরে একটি মাসেই এই অসংখ্য ও অগনীত নেয়ামতরাজি দান করেন  । অফুরন্ত নেকী ও কল্যাণের ঢালি সাজিয়ে রেখেছেন । এই মাসে সিয়াম পালন করা ফরয করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ তায়ালা তার ঈমানদার বান্দাদের  উপর ।
 আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন- “হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের উপর রমযানের রোযা ফরয করা হয়েছে , যেমনিভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের  পূর্ববর্তীদের উপর  , যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পার । (সূরা বাকারা:১৮৩)। এ আয়াত থেকে আমরা জানতে পারলাম  যে, রমযানের রোযা শুধু মাত্র ঈমানদারগণের ওপর ফরয  , বেইমান,    কাফির, মুশরীক বা মুনাফিকদের ওপর রোযা ফরয   নয়।
রাসূল (সা:) রমযানের দুই মাস আগে থেকেই রমযানের রোযা রাখার জন্য  উদগ্রীব হয়ে  উঠতেন ।  এ মাস তিনটি  বিশেষ কারণে মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে । এক. সিয়াম, দুই .কুরআনুল কারিম নাযিল, তিন.লাইলাতুল  কদর নাযিল ।
 এই তিনটি বৈশিষ্ট্য শুধুই রমযান মাসের জন্য রয়েছে ।  রাসূল (সা:)  রমযান মাসকে স্বাগত জানিয়ে ভাষণ দিতেন । হযরত  আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত ।  তিনি বলেন,    রাসূল (সা:) সাহাবীদের কে এ মর্মে সুসংবাদ  ঘোষণা  দিতেন ” তোমাদের সমীপে রমযান মাস  এসেছে । এটি এক মোবারক মাস । আল্লাহ তায়ালা এ মাসে তোমাদের উপর রোযা ফরয করেছেন ।
এতে জান্নাতের দ্বার খোলা হয় ।
জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় । শয়তানকে বাঁধা হয় শেকলে । এ মাসে একটি রজনী রয়েছে, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম । যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে যেনো যাবতীয় কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো । ” (সুনানে নাসায়ী: ২৪২৭) ।
রমযান মাসে বেশি বেশি নেক আমল, তারাবী, তসবিহ- তাহলিল , দোয়া , জিকির- আজকার, দান – সদকা, তাহাজ্জুত, কুরআন তিলওয়াত   , ইফতার করানো   সম্ভব হলে যত বেশি  নেক আমল  পারা যায় ততই লাভ। আল্লাহ আমাদেরকে রমযানে রোযা পালনের মাধ্যমে  আল্লাহর অশেষ রহমত লাভ করতে পারি সেই তৌফিক দান করুন, আমিন  ।
Leave A Reply