টাঙ্গাইলে এসআই জেসমিনকে হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে বহাল দাবিতে থানায় বিক্ষোভ

0

মেহেদী হাসান টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে চাঁদাবাজি ও হয়রানীর মিথ্যা অভিযোগে টাঙ্গাইল মডেল থানার এসআই জেসমিন আক্তারকে ক্লোজ করার আদেশ বাতিল ও হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে বহাল রাখার দাবিতে থানায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বেলতা গ্রামের কয়েকশ লোক থানায় চত্বরে এই বিক্ষোভ করেছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে দুইঘন্টাব্যাপী এই বিক্ষোভ চলে। পরে পুলিশের সুপারিশে তারা থানা থেকে চলে যায়।

এসময় এলাকাবাসী জানান, হত্যা মামলার সাথে জড়িত চররক্ষিত বেলতা গ্রামের অনেকের নাম বেরিয়ে আসে। তাই মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য নানান তালবাহানায় নাটক সাজিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জেসমিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগ এনে থানা ঘেরাও করে রাখে। তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে দ্রুত এগিয়ে চলা মামলা তদন্তকে ধীরগতি করার পায়তারা করেই তারা ঐ নাটক সাজায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জেসমিনের প্রত্যাহার আদেশ বাতিল করে দ্রুত মামলার তদন্তের দায়িত্ব ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান তারা।

এর আগে রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে এই নারী এসআই জেসমিনকে টাঙ্গাইল সদর থানা থেকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে নেয়া হয়। একইসাথে এই ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এর আগে গতকাল শনিবার এই নারী এসআইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগ এনে ঘন্টাব্যাপী টাঙ্গাইল মডেল থানা ঘেরাও করে রাখেন সদর উপজেলার চররক্ষিত বেলতা গ্রামের কয়েক শতাধিক লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী থানা চত্বর ত্যাগ করে।

এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন আগে সদরের বেলতা গ্রামে একটি হত্যাকা- ঘটে। সেই হত্যাকা-ের তদন্তের দায়িত্ব পান টাঙ্গাইল থানার এসআই জেসমিন। ওই তদন্ত কর্মকতার সোর্স উপজেলার পোড়াবাড়ি ইউনিয়নের কাবিলাপাড়ার ইসমাইল হোসেনের ছেলে বক্কর আলী মাধ্যমে গ্রামবাসীর কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেলে ওই সোর্স বেলতা গ্রামে গিয়ে আবারো মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করলে গ্রামবাসী তাকে আটক করে। সোর্সের আটকের খবর পেয়ে এসআই জেসমিন তাকে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসী তাকেও আটকে রাখে। খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ গেলে রাস্তায় গাছ ফেলে গাড়িসহ প্রায় আধা ঘন্টা রাস্তা অবোরধ করে রাখে গ্রামবাসী। পরে কৌশলে পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সন্ধ্যার পর গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে জেসমিন ও সোর্সের শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, হত্যা মামলার সাথে জড়িত সমাজপতিদের উস্কানির কারনেই কাল আসামি পক্ষ থানা ঘেরাও করেছিল। তবে এসআই জেসমিনকে প্রত্যাহার বা ক্লোজ করা হয়নি দাবি করে জিনি জানান, যেহেতু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাই তাকে পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে অতিদ্রুত তাকে আবার এই থানায় ফিরিয়ে দেয়া হবে। যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হয় তাহলে তাকে প্রত্যাহার বা ক্লোজ নয়, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave A Reply