- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
তোবারক হোসেন খোকন, দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ১২বছর ধরে কোন এক্স-রে মেশিন না থাকায় সাধারণ রোগিদের ভোগান্তি চরম আকারে পৌচেছে।
এ নিয়ে সোমবার সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি প্রায় ১২ বছর ধরে নষ্ট। হাসপাতালের সামনের ডায়াগোনস্টিক সেন্টার থেকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে রোগীদের এক্স-রে করাতে হচ্ছে। নানা জটিলতায় প্রায় ৭বছর ধরে ২টি এ্যাম্বুলেন্সও বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। প্রতিদিন গড়ে বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে ২৫০-৩০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রায় প্রতিদিনই ১৫ থেকে ২০ জনকে এক্স-রে করাতে হয়। হাসপাতালে এর ব্যবস্থা না থাকায় সব গুলোই বাহির থেকে করাতে হয়। এছাড়া হাসপাতালের এক্র-রে মেশিনটি নষ্ট থাকায় বাহিরের দোকানীরা ইচ্ছে মতো মুল্য পরিশোধে বাধ্য করছে রোগীদের। ২০০৮ সালে আসা উন্নত মানের মেশিনটি মাঝে মধ্যে চালু করা হলেও প্রায় ৫বছর ধরে সম্পুর্ন অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। দুর্গাপুরে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালটি ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও বাড়েনি জনবল ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হলেও বর্তমানে হাসপাতালে ৩১ শয্যার জনবলও নেই। দীর্ঘদিন ধরে অ্যানেসথেটিস্ট না থাকায় এখানে প্রসূতি অস্ত্রোপচার বন্ধ আছে। হাসপাতালটিতে একজন সার্জারি বিশেষজ্ঞের পদ থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তা শূন্য। এছাড়া ১৭জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ২জন। এক্স-রে কক্ষটি রয়েছে তালাবদ্ধ।
উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদেও আহবায়ক এ্যাডভোকেট মানেশ সাহা বলেন, দীর্ঘদিন এক্স-রে মেশিন নষ্ট থাকায় বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দরিদ্র রোগীদের। বাইরের বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে তাদের অতিরিক্ত টাকায় এক্স-রে করাতে হচ্ছে। এছাড়া বেশি ভাড়ায় মাইক্রো ভাড়া করে অনেক রোগীকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে হচ্ছে। বালিকান্দি গ্রামের দিনমজুর সোবহান মিয়া বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে গাছের ডাল কাটতে গিয়ে মাটিতে পড়ে বাঁ হাতে প্রচন্ড আঘাত পান। চিকিৎসক হাতের এক্স-রে করাতে বললে ৬৫০ টাকায় বাহির থেকে এক্স-রে করাতে হইলো।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেথ আলী রেজা সিদ্দিকী এ প্রতিনিধিকে কে বলেন, আমি বর্তমান কর্মস্থলে নতুন এসেছি, দুর্ঘটনা জনিত কারনে বিশ্রামে আছি। আগামী সপ্তাহে অফিসে এসে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।