- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
মতিউর রহমান,সরিষাবাড়ি জামালপুরঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়িতে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্টায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে কমপক্ষে ১০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি পৌর সভার বাঙ্গালী পাড়া গ্রামের ক্রয় সূত্রে জমির মালিক হোসেন আলী ও তারা কসাই গংদের মধ্যে।
দলিল, মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বাঙ্গালী পাড়া গ্রামের মেহের শেখের মৃত্যুর পর তার দুই মেয়ে জামিলা ও হুরন এবং স্ত্রী হাজেরা বেওয়া ওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্ত হইয়া তাদের জমি প্রতিবেশী মৃত সাহেদ আলীর ছেলে হোসেন আলীর নিকট সাব কওলা দলিল মূলে বিক্রি করে। জমিলা ও হুরন প্রত্যেকের ১৫ শতাংশ এবং হাজেরা বেওয়ার ০৭ শতাংশ (১৫+১৫+০৭=৩৭ শতাংশ) জমি হোসেন আলী ক্রয় করে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করে আসছিলেন। সম্প্রতি একই গ্রামের মৃত রনা মন্ডলের ছেলে তারা কসাই গং ওই জমিতে তাদের মালিকানা দাবী করে। এ নিয়ে গ্রামে একাধিক শালিস বৈঠক হলেও কোন সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি। এ দিকে হোসেন আলী প্রতিপক্ষের হুমকি ধামকির ভয়ে বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা রুজু করেন । হোসেন আলী ২৫ মার্চ তার জমিটি মাটি ভরাট করতে গেলে প্রতিপক্ষ তারা কসাই গংরা জমির মালিকানা দাবী করে মাটি ভরাট কাজে বে-আইনি জনতাবদ্ধে বাধা প্রদান করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্ততঃ ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সরষাবাড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তারা কসাইয়ের পক্ষাশ্রিত কালু মিয়া (৫২) সুরুজ মিয়া (৫৭) এবং রফিকুল ইসলাম (৩৫) কে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রয় সূত্রে জমির মালিক হোসেন আলী বলেন মৃত রনা মন্ডলের ছেলে তারা কসাই গংরা আমার ক্রয়কৃত জমিতে মালিকানা দাবী করলে একাধিক গ্রাম্য শালিস বৈঠক হয়। শালিস বৈঠকে কোন সুরাহা না হওয়ায় তারা আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা রুজু করি। তিনি আরও বলেন আমার ক্রয়কৃত জমিতে মৃত রনা মন্ডলের কোন অংশী দারিত্ব নেই।
৬ মার্চ দুপুরে তারা কসাইয়ের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তারা কসাইয়ের স্ত্রী বলেন ওই জমিতে আমার শ্বশুরের অংশ আছে।
হোসেন আলী ও তারা কসাইয়ের মধ্যে জমিজমার বিরোধ নিয়ে থানা ও কোর্টে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। স্থানীয়ভাবে সমঝোতা না হওয়ায় সংঘাত শংসয়ের বিষটিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিচক্ষণ মহল।