- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
সেলিম রেজা, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বগুড়ার শেরপুরে হতদরিদ্রদের জন্য নেয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পাইলট প্রকল্পের দশ টাকা কেজির চাল খোলাবাজারে বিক্রি ঠেকাতে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন। মুনাফাখোর ব্যবসায়ি চক্রকে ধরতে গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. লিয়াকত আলী সেখের নেতৃত্বে উপজেলার একাধিক স্থানে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হারুন-উর-রশিদসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযানকে ঘিরে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। গা ঢাকা দিয়েছে মুনাফাখোর ব্যবসায়ী চক্রের সদস্যরা। পাশাপাশি সুফল পেতে শুরু করেছেন হতদরিদ্র সুবিধাভোগী সাধারণ মানুষ।
এ সংক্রান্ত সংবাদ একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়। এছাড়া নড়েচড়ে বসে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মূলত এরপরই চাল বিক্রি ঠেকাতে এই অভিযান শুরু করা হলো। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকার হতদরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে হতদরিদ্র মানুষ স্বল্পমূল্যে দশ টাকা কেজি ধরে পাচ্ছেন। তবে হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে এসব চাল ক্রয় করছেন একশ্রেণীর মুনাফাখোর ব্যবসায়ী। পরবর্তীতে ওইসব চাল দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন তারা। এতে করে হতদরিদ্ররা তেমন কোন সুফল না পেলেও ওইসব ব্যবসায়িরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। এছাড়া এসব খোলাবাজারে ক্রয়-বিক্রি করার ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিধি-নিষেধ রয়েছে। তাই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এই চাল বিক্রি ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই সিন্ডিকেট চক্রকে ধরতে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের জামতলা, মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজার, ভবানীপুর ইউনিয়নের ছোনকা বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে এসময় ওই চক্রের কাউকে পাওয়া যায়নি। ফলে হতদরিদ্ররা স্ব-স্ব ডিলারের মাধ্যমে তাদের দোকান থেকে চাল ক্রয় করছেন। একইসঙ্গে তারা এই চাল নিয়ে নিবিঘেœ বাড়ি চলে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে সরকারের উদ্দেশ্যে লক্ষ্য বাস্তবায়নের পাশাপাশি সুবিধাভোগী হতদরিদ্ররা মানুষ সুফল পাবেন বলে সূত্রটি জানায়। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হারুন-অর-রশিদ জানান, বিগত ২০১৬সালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। তবে এই কার্যক্রম আরও আধুনিকতায়নসহ উপকারভোগীদের সুবিধার্থে এবং তাদের ভোগান্তি কমানোর জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এসএমএস সিস্টেমে খাদ্যশস্য বিতরণ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এই প্রথম রাজশাহী বিভাগের ৬৯ উপজেলার মধ্যে শেরপুর উপজেলা ১৪ হাজার ৩৭১জন হতদরিদ্র সুবিধাভোগী মানুষ ২০জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিমাসে ৩০কেজি করে ১০টাকা দরে চাল ক্রয় করছেন।