Latest posts by সম্পাদনা: এস.এম আব্দুর রাজ্জাক (see all)
- গণঅভ্যুত্থানে শাহাদৎ বরণকারীদের রুহের মাগফিরাত কামনা ধনবাড়ীতে বিএনপির উদ্যোগে - October 19, 2024
- কাজীপুর জবর দখলকৃত জমিতে রোপন করা ফসল নষ্ট করে উল্টো প্রকৃত জমির মালিককে ফাসানোর চেষ্টা - October 18, 2024
- ধনবাড়ীতে ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল জনসভা - October 18, 2024
সোহেল রানা,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া শহরের রাস্তায় রাস্তায় সাপ নিয়ে বেদে সম্প্রদায়ের নারীরা চাঁদা উত্তোলন করছেন। কয়েক সপ্তাহ দিন ধরে চলছে এ ধরনের চাঁদাবাজি।
মঙ্গলবার দুপুরেও শহরের ব্যস্ততম এলাকা এনএস রোডের বঙ্গবন্ধু মার্কেটের সামনে দেখা গেছে এ ধরনের দৃশ্য।
বেদে সম্প্রদায়ের এক নারী (১৮) সাপ নিয়ে চাঁদা তুলছেন।
বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে টাকা চাইছেন। এর ফলে ছোট-বড় সব বয়সি মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন।
সাপের ভয়ে অনেকে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। সেই নারীর সাথে যুক্ত হয় আরো কয়কজন।
তবে এই নারীরা টার্গেট করেন মূলত স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের। গলায় জড়িয়ে রেখে আবার কাঠের ছোট বাক্সের মধ্য থেকে সাপের মাথা বের করছেন। এ সময় সাপ তার জিহ্বা নাড়ানোর কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন মানুষ। চমকে উঠছেন পথচারী ও দোকান মালিকরা। এরপর পথ আগলে দাবি করা হচ্ছে টাকা। চাহিদা মতো টাকা না দিলে ছেলেদের শার্ট আর মেয়েদের ওড়না টেনে ধরা হচ্ছে। ছোট কাঠের বাক্সে সাপ নিয়ে চাঁদাবাজি নতুন নয়, মাঝে মাঝেই এমন উদ্ভুত সসম্যার সৃষ্টি হয়।
অনেক পথচারী সাপের ভয় থেকে বাঁচতে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। শহরের এন এস রোডে, বড় বাজার, থানা ট্রাফিক মোড়, শাপলা চত্বর এলাকার তমিজ উদ্দিন সুপার মার্কেট এলাকার সামনে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে এসব নারীকে। লোক বুঝে যার থেকে যেমন টাকা পাচ্ছেন, তা আদায় করছেন।
এনএস রোডের নাজ জুয়েলার্সের সামনে থাকা মানুষের কাছে টাকা আদায় করছিলো। পরে আরো কয়েক নারী আবারো টাকা আনতে উদ্যোত হয়। এসময় টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গাড়ী চালককে বকাবাধ্য করে। এবং গলায় জড়ানো শাপের ভয় দেখিয়ে থাকে।
এসময় ওই নারীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার নাম ও বাড়ি কোথায় জিজ্ঞাসা করা হয়। কিন্তু এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ ওই নারী।
তবে তিনি জানান, তার স্বামী নেই। একটা সন্তান আছে। বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ তিনি। আয়-উপার্জনের ভিন্ন কোনো পথ তার জানা নেই। তাই তিনি সাপ দেখিয়ে টাকা নেন। প্রতিদিন তার আয় হয় পাঁচ থেকে ছয়শ টাকা। এ টাকা দিয়েই কোনোভাবে নিয়ে সংসার চালান।
জোসেফ খান নামের এক ব্যবসায়ী জানান, অনেক সময় কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের মায়েদের কাছ থেকে শাপের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে। এতে করে ঐ শিশুরা অনেক সময় আতঙ্কিত থাকে।