- সিউর সাকসেস স্কুল এন্ড ক্যাডেট কোচিং এর অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত - October 19, 2024
- A large public meeting was held at Dhanbari on the initiative of BNPMd. - October 19, 2024
- BNP initiative in Dhanbari to pray for the souls of those martyred in the mass uprising - October 19, 2024
নিউজ ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, মাদ্রাসা-মসজিদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করুন। জুমার নামাজের আজান হলে নামাজ পড়তে যাবেন।
তিনি বলেন, মাথায় টুপি দেখলে কাউকে জামায়াত বলে উপহাস করবেন না। হুজুরদের শুধু ব্যবহার করেছেন জিয়াউর রহমান আর জামায়াতিরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সম্মানের আসনে বসিয়েছেন। মাদ্রাসা-মসজিদেরও উন্নয়ন করছেন।
শুক্রবার বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের কমিটিতে ঢুকতে দেবেন না। তাদের ঝেঁটিয়ে বের করে দেয়া হবে। তবে ভাল মানুষের জন্য দরজা খোলা রাখবেন, জানালা খোলা রাখবেন। সমাজে যাদের গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে, নীতি-নৈতিকতা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য জায়গা রাখবেন।
নানক বলেন, পদ পেয়ে ভাববেন না ‘মুই কি হুনুরে’। পানি গরম হলে মাছ মরে যায়। তখন আর মাছ ধরা যায় না। হৃদয় দিয়ে, ভালবাসা দিয়ে কর্মীদের বাঁচিয়ে রাখুন-সম্পর্ক তৈরি করুন। আওয়ামী লীগকে শ্যালক-দুলাভাই, মামা–ভাগ্নে, ভাই-ভাতিজা-চাচার দল তৈরি করবেন না।
তিনি বলেন, দস্যুতার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা অভিযান শুরু করেছেন। দুর্নীতি করবেন, আঙুল ফুলে কলাগাছ হবেন। সেই দিন ভুলে যান, সর্তক হোন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি মহাসচিব তার নিজ এলাকায় প্রত্যাখ্যান হয়ে বগুড়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের লজ্জা নেই। বিএনপি হচ্ছে কান কাটাদের দল। এদের লজ্জা, শরম নেই। তাদের নেতা দুর্নীতি করে জেলে গেছেন। আইনি লড়াই করে প্রমাণ করতে পারেননি তিনি দুর্নীতি করেননি।
তিনি বলেন, আমরা (আওয়ামী লীগ) বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখিনি। তিনি দুর্নীতির দায়ে আদালতের রায়ে কারাগারে আটক রয়েছেন। এজলাসে উঠে, চিৎকার করে তার মুক্তি হবে না।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় এমপি দবিরুল ইসলাম সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য জাকিয়া তাবাসুম জুঁই প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক কুরাইশী। সম্মেলন সঞ্চালন করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাক আলম টুলু ও অধ্যক্ষ জুলফিকার আলী ভুট্টো। সমাবেশের পর জেলা কমিটির সম্মেলন শুরু হয়।
দ্বিতীয় অধিবেশনে ২৭০ জন কাউন্সিলর অংশগ্রহণ করেন।
দীর্ঘ ৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো এ সম্মেলন । সম্মেলন শেষে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটির সভাপতি সাদেক কুরাইশী ও সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়ের নাম ঘোষণা করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। রমেশ চন্দ্র সেন ও দবিরুল ইসলামের ঠাঁই হয় কার্যকরী সদস্যে।
এদিকে সম্মেলনের আগে ও পরে অনুষ্ঠানস্থলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.