
৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বকাপ এখন মেসির হাতে। স্বপ্নের সোনালি ট্রফি হাতে ম্যারাডোনার উত্তরসূরিরা এখন বুয়েন্স আয়ার্সে। লাখ লাখ আর্জেন্টাইন প্রস্তুত বিজয়ীদের বরণ করে নিতে।
রবিবার ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসি পেলেন তার অধরা বিশ্বকাপ ট্রফি।
এর আগে মেসিদের উদ্যাপন অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল রোববার রাতে লুসাইলের গঞ্জালো মন্তিয়েলের নেওয়া টাইব্রেকার শটটার পরেই। ওই শটেই নিশ্চিত হয়ে যায় আর্জেন্টিনার জয়, আর তার পর থেকেই লুসাইল স্টেডিয়াম আকাশি-নীলময়। পরিবার নিয়ে তাৎক্ষণিক উদ্যাপন, পুরস্কার গ্রহণ, ট্রফি নিয়ে ছবি তোলা পর্ব শেষে ড্রেসিংরুমেও এক দফা নেচেগেয়ে উদ্যাপন করেছেন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়েরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে সেই উদ্যাপনে মেসি, এমিলিয়ানো মার্তিনেজ আর লাওতারো মার্তিনেজকেই বেশি উল্লাস করতে দেখা গেছে। কেউ টেবিলের ওপর উঠে নাচছেন, কেউ মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছেন, আবার দল বেঁধে কোরাস ধরেছেন কখনো কখনো।
টাইব্রেকারের নায়ক গোলরক্ষক মার্তিনেজ তো সবাইকে নিয়ে নাচতে নাচতেই হঠাৎ থেমে গিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পের জন্য! ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেও যে এমবাপ্পে ফ্রান্সকে জেতাতে পারলেন না, সে জন্যই তাঁর জন্য ওই কপট ‘শোক’ মেসিদের।
দোহা অবশ্য ফাইনালের আগেই এক টুকরা বুয়েনস এইরেস হয়ে উঠেছিল। আর্জেন্টিনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর যেন আরও বেশি। লুসাইল থেকে ছাদখোলা বাসে করে মেসিরা কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের বেজক্যাম্পে যাওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা গর্জন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। ঢাকঢোল ও আতশবাজিতে চলে আর্জেন্টিনার বিজয় মিছিল।
বেজক্যাম্পে ফিরেও মেসিরা ভোররাত পর্যন্ত উদ্যাপন করেছেন নিজেদের মতো। টিম ডিনার শেষে আরও এক দফা চলেছে নাচ-গান, আড্ডা। তাতেই ফ্লাইটে দেরি। এমন আনন্দঘন রাতে দেরিতেই বা কী আসে যায়!
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.