সৃজিতের ‘জামাই আদর’ এ হতাশ তসলিমা নাসরিন!

বিনোদন ডেস্ক

সৃজিত ও মিথিলা বিয়ে করেন ৬ ডিসেম্বর। এরপর সুইজারল্যান্ড ও গ্রিসে মধুচন্দ্রিমা উদযাপন করেন। সম্প্রতি সৃজিত এসেছিলেন ঢাকায়। বিয়ের পর প্রথমবার ঢাকায় শ্বশুরবাড়িতে এসে দারুণ খুশি সৃজিত। জামাই আদরের নাকি কোনো কমতি হয়নি। সেই কথা চাউর করেন নিজের টুইটার পোস্টে। ছবি শেয়ার করে খাবারের তালিকা দেন সৃজিত। শ্বশুরবাড়িতে তার পাতে উঠে ঝিরিঝিরি আলু ভাজা, লোটে–শুঁটকি (লইট্যা), ডাল, কড়াইশুটি দিয়ে পাবদা মাছ, মুরগির ঝোল ও বাঁধাকপি দিয়ে গরুর গোশত!

অবশ্য গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করতে দেরি করেননি অনেক টুইটার ব্যবহারকারী। সেখানে উত্তরও দিয়েছেন সৃজিত। স্মরণ করিয়ে দিলেন ‘বাইশে শ্রাবণ’ ছবির সংলাপ। সৃজিত লেখেন, ‘হিন্দুধর্ম নিয়ে কথা আপনার মতো অশিক্ষিতের মুখে বেমানান। ঋগ্বেদ, মনুস্মৃতি ও গৃহ সূত্রের কিছু শ্লোক দেব খাওয়া–দাওয়া নিয়ে, রোজ সকালে কান ধরে ছাদে দাঁড়িয়ে মুখস্থ করবেন। ভদ্রভাবে বোঝালাম, নয়তো মনে রাখবেন, ‘বাইশে শ্রাবণে’র সংলাপ কিন্তু আমারই লেখা।’

এদিকে জামাই আদর পেয়ে সৃজিত উচ্ছ্বসিত হলেও আনন্দিত হতে পারেননি জনপ্রিয় লেখক তসলিমা নাসরিন। সৃজিতের জামাই আপ্যায়ন নিয়ে তসলিমা হতাশাই প্রকাশ করেছেন। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) তসলিমা নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘সৃজিতের শ্বশুরবাড়ি বাংলাদেশে, প্রথম জামাই খাওয়ানোটা আরও ভালো হতে পারত। ছবি আর মেনু দেখে আমি তো হতাশ। বাংলাদেশের লোকেরা তো বাইশ পদ রান্না করে জানতাম। পম্ফ্রেট ভাজা কোথায়? সর্ষে ইলিশ কোথায়? চিংড়ির মালাইকারি কোথায়? খাসির মাংস কোথায়? কাচ্চি বিরিয়ানি কোথায়? ধ্যাৎ, কোনও মানে হয়?’ তসলিমার পোস্টের নিচে অনেকেই তসলিমাকে সমর্থন জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন, আরও ভালো আপ্যায়ন হতে পারত।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.