হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন চান ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদ ওই সব সেন্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য সংরক্ষণসংক্রান্ত হাইকোর্টের এক আদেশ বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন বিভিন্ন সেন্টারের উদ্যোক্তারা।

সম্প্রতি পৃথক দুটি রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ১১ জেলার ১০৬ উদ্যোক্তার জন্য ডিজিটাল সেন্টারের সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদ সংরক্ষণের আদেশ দেয়।

পাশাপাশি এসব জেলার ইউপি ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা পদে কর্মরতদের রাজস্ব খাতে আত্তীকরণ না করে সেখানে হিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং উদ্যোক্তা পদে কর্মরতদের রাজস্ব খাতে আত্তীকরণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

এসব তথ্য উল্লেখ করে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাছিহাতা মডেল ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মো. তাজুল ইসলামের পাঠানো এক আবেদনের নথি থেকে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ও ২২ অক্টোবর সরকার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে কর্মরত ১০৬ জন উদ্যোক্তা।

উদ্যোক্তা তাজুল ইসলাম বলেন, তারা ১০ বছর ধরে বিনা বেতনে সরকার ও জনগণকে ডিজিটাল সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তাই তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

আইনজীবীসূত্রে জানা যায়, পৃথক দুটি রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত একটি রিটের আদেশে ৩০ এবং অন্য রিটে ৭৬ জনসহ মোট ১০৬ জনের জন্য হিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদ ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেয়।

এই আদেশের ফলে ১১ জেলার ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটরের ১০৬টি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে এবং পদগুলো উদ্যোক্তাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে বলে জানান আইনজীবী।

সরকারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে রিট করেছিলেন ফজলুল কবির, মো. রুবেল, মো. শামীম, মো. নোমান, মো. সালাউদ্দিনসহ ১১ জেলার ১০৬ জন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা।

সংশ্লিষ্ট জেলাগুলো হলো-ভোলা, সাতক্ষীরা, খুলনা, রাজবাড়ী, টাঙ্গাইল, ঝিনাইদহ, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, জামালপুর ও কুমিল্লা।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.