নানা আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালন

 

সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে কুড়িগ্রাম পাক হানাদার মুক্ত দিবস। দিবসটি পালন উপলক্ষে কুড়িগ্রাম মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যৌথ উদ্যোগে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি, পুষ্পস্তবক অর্পন, আলোচনা সভা মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েেেছ।

শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে বিজয় র‌্যালি কুড়িগ্রাম শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষীন করে স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শহীদদের প্রতিশ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়।

পরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নিলুফা ইয়াসমিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু, বীর প্রতীক আব্দুল হাই, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশিদ লাল, আমিনুল ইসলাম, বাসদ নেতা মোনাব্বর হোসেন মিন্টু, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল বোস, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রতিমা রায় চৌধুরী, কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা সব্রতা রায়, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শ্যামল ভৌমিক প্রমূখ।

এ সময় ১৯৭১ সালে কুড়িগ্রাম মুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকারী বীর প্রতীক আব্দুল হাইকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এসময় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডল, সিরাজুল ইসলাম টুকু ও সংগঠন হিসেবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কুড়িগ্রাম শাখাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে কুড়িগ্রামকে হানাদার মুক্ত হয়। সেদিন ৬নং সাব সেক্টরের কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল হাই বীর প্রতীকের নেতৃত্বে একটি মুক্তিযোদ্ধা দল কুড়িগ্রাম শহরে প্রবেশ করে পানির ট্যাংকের উপর স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.