অবৈধ পথে ৫০ কোটি টাকার মালিক তিনি

নিউজ ডেস্ক:

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পাবনার ইউনানী ওষুধ কোম্পানি ইড্রাল ও শিমলা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন ও তার ছেলে রাজিব হোসেনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

পাবনার নারী সাংবাদিক সুবর্ণা নদী (৩২) হত্যা মামলারও আসামি আবুল হোসেন ও তার ছেলে রাজিব হোসেন। আবুল হোসেন নিহত সাংবাদিক সুবর্ণা নদীর সাবেক শ্বশুর এবং রাজিব সাবেক স্বামী।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পাবনা শহরের চাঁদাখার বাঁশতলা থেকে তাদের গ্রেফতার করে দুদকের একটি টিম। গ্রেফতারের পরপরই আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

দুদক জানায়, আবুল হোসেন একসময় পাবনায় ঘড়ি, রেডিও, টিভি ও ভিসিআর মেরামত করতেন। পরে ইউনানী ওষুধের ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী আবুল হোসেন। তার তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মেসার্স শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেসার্স ইড্রাল (ইনডিজিনাস ড্রাগ ল্যাব) ও মেসার্স শিমলা জেনারেল হাসপাতাল। সব মিলে বর্তমানে ৫০ কোটির বেশি টাকার মালিক হলেও দুদককে ৪০ কোটি ৬৬ লাখ ১৪ হাজার ৬১ টাকার সম্পদের বিবরণ দেন আবুল হোসেন। এর মধ্যে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত আট কোটি ৯১ লাখ ৯১ হাজার ৮২৯ টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পায় দুদক।

পরে অনুসন্ধান চালিয়ে ৯১ লাখ ৯১ হাজার ৮২৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দুদকের পাবনা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান বাদী হয়ে গত ২৯ মে পাবনা থানায় মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান।

আতিকুর রহমান বলেন, আবুল হোসেনের ছেলে রাজিব হোসেন দুই কোটি ৩৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের বিবরণ দেন। এর মধ্যে এক কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩০০ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেন তিনি। জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জন করায় রাজিবের বিরুদ্ধেও গত ২৯ মে পাবনা থানায় মামলা করা হয়।

প্রসঙ্গত, পাবনায় দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত নারী সাংবাদিক সুবর্ণা নদীর সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেন। আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা নদী গত বছরের ২৮ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসার গেটের সামনে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন।

হত্যার পরদিন নদীর মা মর্জিনা বেগম নদীর সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেন, তার ছেলে নদীর সাবেক স্বামী রাজিব, রাজিবের সহকারী মিলনসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে পাবনা থানায় মামলা করেন। নদী হত্যা মামলায় আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করলে পরে জামিনে ছাড়া পান। এরপর তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করা হয়।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.