- সিউর সাকসেস স্কুল এন্ড ক্যাডেট কোচিং এর অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত - October 19, 2024
- A large public meeting was held at Dhanbari on the initiative of BNPMd. - October 19, 2024
- BNP initiative in Dhanbari to pray for the souls of those martyred in the mass uprising - October 19, 2024
অনলাইন ডেস্ক:
দুর্দান্ত ওয়ার্নার। থামানোয় যায়নি তার দুরন্ত যাত্রা। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ট্রিপল সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। তাতেই স্ত্রী ক্যান্ডিসের চোখে চলে এল জলধারা।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম দিনই ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন ওয়ার্নার। শেষ পর্যন্ত ৩৩৫ রানে ইস্তফা দিলেন। সেটাও অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে ৫৮৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করায়।
গোলাপি বলের ক্রিকেটে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এই অজি ওপেনার। প্রায় তিন বছর পর ভারতের করুন নায়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন ডেভিড। ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন করুন নায়ার। অবশ্য ডেভিড ওয়ার্নারের আগে টেস্টের ইতিহাসে ৩০টি ট্রিপল সেঞ্চুরির ঘটনা রয়েছে। আর ৭ম অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ানের তালিকায় নাম উঠল ওয়ার্নারের।
টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরির মাইলফলকটি করেছেন ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান অ্যান্ডি সান্ধাম। ১৯৩০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২৫ রান করেন অ্যান্ডি।
এছাড়া দুটি করে ট্রিপল সেঞ্চুরি রয়েছে স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, ব্রায়ান লারা, ক্রিস গেইল, বিরেন্দর শেবাগের। তবে ব্রায়ান লারার অপরাজিত ৪০০ রানের ইতিহাস কেউ ছুঁতে পারেনি এখনও।
শনিবার ইনিংসের ১২০-তম ওভারে পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আব্বাসের বল সীমানার বাইরে পাঠিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন ওয়ার্নার। ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে ডেভিড ওয়ার্নারের বল খেলেছেন মাত্র ৩৮৯টি। হাঁকিয়েছেন ৩৭টি বাউন্ডারি। শেষ পর্যন্ত ৩৩৫ রানের ইনিংসে ছিল ৩৯টি চার ও ১টি ছয়।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভালে স্যার ডন ব্র্যাডম্যান এর আগে সর্বোচ্চ ২৯৯* রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এটাই এই মাঠে কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রান। ১৯৩২ সালে সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্র্যাডম্যান এই রান হাঁকিয়েছিলেন। সেই কীর্তি এদিন টপকে গেলেন ওয়ার্নার। তিনি ৩০০ রান ছুঁতেই গ্যালারি হাততালিতে ফেটে পরে। সেই সঙ্গে এদিন মাথা নিচু করে স্পেশাল সেলিব্রেশনে ব্র্যাডম্যানকে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
ওয়ার্নারের কীর্তিতে চোখে জল তার স্ত্রীর। কারণ শেষ বছরটা ওয়ার্নারকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কেপটাউন টেস্টে বল বিকৃতি কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর পর ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন। এরপর দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে প্রত্যাবর্তন। বিশ্বকাপ ও সীমিত ওভারে রান পেলেও অ্যাশেজ সিরিজে রান পাননি। তবে ঘরের মাঠে ব্রিসবেন টেস্টে সেঞ্চুরির পর ওভালে তিনশো হাঁকালেন ওয়ার্নার। সেই কীর্তি দেখে গ্যালারিতে রোদচমশার আড়ালে ওয়ার্নারের স্ত্রী ক্যান্ডিস কেঁদে ফেলেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.