টানা ১৭ শুক্রবার জুমার নামাজ হয়নি শ্রীনগর জামা মসজিদে

অনলাইন ডেস্ক:

গত ৫ আগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া সংবিধানের বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা বাতিল করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার। যার জের এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি উপত্যকা। সেই সময়েই তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল কাশ্মীরিরা। তীব্র বিরধিতা জানিয়েছিল কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলো। এখনও পর্যন্ত উপত্যকায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ঢুকতে দেওয়া হয়নি বিরোধী নেতাদের। স্কুল-কলেজ খুললেও পড়ুয়াদের দেখা নেই। সব মিলিয়ে বিরোধীদের দাবি ভয়াবহ পরিস্থিতি উপত্যকার। জানাগেছে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে লাগাতার ভাবে বন্ধ রয়েছে শ্রীনগরের জামা মসজিদ। সেখানে গত ১৭ টি শুক্রবার থেকে বন্ধ রয়েছে জুম্মার নামাজ পড়া। জুম্মার নামাজের জমায়েতের উপরও জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা।

এদিকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে জনগণের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে সরব হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার বলে উড়িয়ে দেয় নবগঠিত কেন্দ্রশাসিত প্রশাসন।

এই বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টে চলা এক মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতিদের প্রশ্নের জবাবে কাশ্মীর সরকারের পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “উপত্যকা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য, স্কুল-কলেজ, সংযোগ ব্যবস্থা ও পরিবহণের মতো সব অত্যাবশ্যক পরিষেবা স্বাভাবিকভাবে চলছে বলে দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নয়া ব্যবস্থা উপত্যকাবাসী বেশ খুশি বলেও শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়েছে। শুধুমাত্র সমস্যাসৃষ্টিকারী জনগণ মনে করছে উপত্যকা এখনও স্বাভাবিক নয়।”

এদিকে কাশ্মীরে ৫,০০০ জনেরও বেশি মানুষকে প্রতিরোধমূলক ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ অগাস্ট থেকে। এঁদের মধ্যে ৬০৯ জন এখনও হেফাজতে রয়েছেন‌। এঁদের মধ্যে পাথর ছোঁড়া বিচ্ছিন্নতাবাদী, রাজন‌ৈতিক কর্মী ও আরও নানা ক্ষেত্রের মানুষ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

তবে এত কিছুর মাঝেও গত মাসে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে খুন হল পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাশ্মীরে কাজ করতে যাওয়া পাঁচ শ্রমিক এবং দুই জন ট্রাক চালক। অবশ্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের দাবি জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা নাকি প্রায় শূন্যে এসে ঠেকেছে।

এদিকে খুব শীঘ্রই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন লেফটেন্যান্ট গর্ভনর গিরীশ চন্দ্র মুর্মু। তবে প্রশ্ন উঠেছে যেখানে সাধারণ মানুষের প্রার্থনা করার অধিকার নেই সেখানে কতটা অবাধে নির্বাচন করা সম্ভব তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তাছাড়া রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি রেখেই বা কেমন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কাশ্মীরে!

সূত্র: টিডিএন

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.