ধর্ষকের কাছে অভিনেত্রীকে তুলে দিয়েছিলেন মা

অনলাইন ডেস্ক:

আমেরিকান অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ডেমি মুর ছিলেন নব্বইয়ের দশকের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বাধিক পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। সেন্ট এলমোরস ফায়ার, এ ফিউ গুড মেন, ইনসেন্ট প্রপোজাল, ডিসক্লোজার, জি.আই. জেন, ববি, মি. ব্রুকস, মার্জিন কল, রুফ নাইটসহ অনেকগুলো জনপ্রিয় সিনেমা আছে তার ঝুলিতে।

সফল একজন অভিনেত্রী হয়েও কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানান এই তিনি।   সম্প্রতি তার স্মৃতিকথা ‘ইনসাইড আউট’ নামের বইয়ে জীবনের অনেক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। স্মৃতিকথা থেকে জানা যায়, অভিনেত্রীর বয়স যখন ১৫, তখন তাকে ধর্ষণ করেছিল এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি ছিলেন তার মায়ের পরিচিত।  ডেমি মুর জানান, একদিন বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন তাদের অ্যাপার্টমেন্টে এক বয়স্ক মানুষ তার অপেক্ষায় ছিলেন। অ্যাপার্টমেন্টের চাবি খুলে আগেই ঢুকেছিলেন তিনি। ওই লোকটি অভিনেত্রীকে জানান, তার মা ৫০০ ডলারের বিনিময়ে তাকে বিক্রি করেছেন। ইউএস টিভির টিভি শো ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ বইটির বিভিন্ন অংশ পড়েও শোনানো হয়।

ডেমি মুর বইতে ওই ঘটনার প্রসঙ্গে লিখেছেন, ওটা ছিল ধর্ষণ। এবং এক ভয়ঙ্কর বিশ্বাসঘাতকতা। ওই মানুষটি প্রশ্ন করেছিল, নিজের মায়ের দ্বারা ৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে কেমন লাগছে?  সত্যিই কি মা তার মেয়েকে এমন চরম দুর্গতির দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন? ডেমি মুরকে এই প্রশ্ন করেন শোয়ের সঞ্চালক ডায়ান সয়্যার। ৫৭ বছর বয়সী অভিনেত্রী বলেছিলেন, তিনি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে মনে করেন এমন সোজাসুজি কোনও লেনদেন হয়নি।

কিন্তু তার মা-ই যে ওই লোকটিকে অ্যাপার্টমেন্টে ঢোকার সুযোগ করে মেয়েকে ভয়াবহ বিপদে ফেলেছিলেন, তা জানান ডেমি মুর।  স্মৃতিকথা থেকে জানা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর বয়স যখন ১৫, তখন তাকে ধর্ষণ করেছিল এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি ছিলেন তার মায়ের পরিচিত। ডেমি মুর জানান, তার বয়স যখন ১২, তখন তার মা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ওই মুহূর্তকে জীবনের মোড় ঘোরানোর মুহূর্ত বলে মনে করেন তিনি।

তিনি এও বলেন, যেদিন তিনি জানতে পারেন যে মানুষটিকে তিনি বাবা বলে জানেন, তিনি আদৌ তার জন্মদাতা নন, তখন তিনি নিজেকে বলেছিলেন, তাকে মোটেই চাওয়া হয়নি। ডেমি তিনবার বিয়ে করেছেন। তার প্রথম স্বামী ফ্রেডি মুর। আর দ্বিতীয় স্বামীর ব্রুস উইলিস, এই ঘরে তার তিন মেয়ে আছে। তৃতীয় স্বামী অ্যাস্টন কুচেরের সঙ্গে ডেট করার সময় একবার গর্ভপাতও হয়েছিল তার।  ‘ইনসাইড আউট’ বইটি ডেমি উৎসর্গ করেছেন তার মা ও তিন মেয়েকে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.