- সিউর সাকসেস স্কুল এন্ড ক্যাডেট কোচিং এর অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত - October 19, 2024
- A large public meeting was held at Dhanbari on the initiative of BNPMd. - October 19, 2024
- BNP initiative in Dhanbari to pray for the souls of those martyred in the mass uprising - October 19, 2024
অনলাইন ডেস্ক:
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুললেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা চলে আসছে, যা এতদসংক্রান্ত সংবিধান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ও নির্বাচন কমিশন কার্যপ্রণালী বিধিমালা সমর্থন করে না।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের নিজ ভবনে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনারদের কিছু না জানানোকে সংবিধানের লঙ্ঘন বলে মনে করছেন মাহবুব তালুকদার।
তার অভিযোগ, সম্প্রতি ১২ এবং ২০ গ্রেডে শূন্য পদে ৩৩৯ জনকে নিয়োগ এবং সেই পরীক্ষা থেকে বহিষ্কৃত ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি সে বিষয়ে জানতে চেয়ে কোন তথ্য পাননি তিনি।
এছাড়া নিয়োগের পেছনে চার কোটি টাকার উপরে আর্থিক অনিয়মেরও অভিযোগ তোলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
তিনি বলেন, লিখিতভাবে আমাকে আরও জানানো হয়, কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় ৩৩৯টি শূন্যপদের বিপরীতে ৮৫,৮৯৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি ও উত্তরপত্র যাচাইয়ের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষদকে ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এই অর্থ প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনুমোদন করলেও কতজন পরীক্ষককে কীভাবে এই টাকা প্রদান করা হয়, তার কোনো হিসাব নির্বাচন কমিশনের কাছে নেই। এমনকি নিয়োগ কমিটির সদস্যবৃন্দ এ বিষয়ে অবহিত নন। কমিশন সচিবালয় পরীক্ষা সম্পর্কে কিছুই জানে না। পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের ধরনের বিষয়টিও প্রশ্নবিদ্ধ। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে না বলেও আশঙ্কা করেন এই নির্বাচন কমিশনার।
এর প্রেক্ষিতে ‘আমার কথা’ শিরোনামে লিখিত বক্তব্যে মাহবুব তালুকদার আরও বলেন, গত ২৪ নভেম্বর কমিশনের এখতিয়ারের বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশ পাওয়ায় সাংবাদিকবৃন্দ আমার বক্তব্য জানতে চান। এই প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে আমার অভিমত ব্যক্ত করতে হলো।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের একটি নিয়োগ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারের দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। চার কমিশনারের কোনো মত না নিয়েই ৩৩৯ জন কর্মচারীর নিয়োগ চূড়ান্ত করায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী গতকাল রোববার সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, চার কমিশনারকে আর্থিক বিষয়সহ অনেক বিষয়ে জানানো হয় না। বর্তমান অবস্থায় ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর নির্বাচন কমিশনের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ অনুপস্থিত। তাঁরা শুধু সিইসি ও সচিবের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। নিয়োগের বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.