যুবলীগের নেতৃত্বে পরশ-নিখিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক

প্রায় সাত বছর পর জাতীয় কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব এসেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগে। সংগঠনটির নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন শেখ ফজলে শামস পরশ। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

নতুন চেয়ারম্যান পরশ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে। আর সাধারণ সম্পাদক নিখিল এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।

নতুন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তার নাম প্রস্তাব করেন সপ্তম কংগ্রেসের আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম। আর সমর্থন করেন সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ।

আর সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য কাউন্সিলরদের কাছ থেকে নামের প্রস্তাব চাওয়া হয়। কাউন্সিলরা অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, মহিউদ্দিন মহি, বদিউল আলম বদি, মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, সুব্রত পাল  এবং ইকবাল মাহমুদ বাবলুর নাম প্রস্তাব করেন। পরে নিখিল নির্বাচিত হন।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য পরশ ১০ বছর ধরে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে একই বিষয়ে আবারো স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। পরশের বর্তমান বয়স ৫১ বছর।

সাধারণ সম্পাদক নিখিল এর আগে যুবলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। সব শেষ তিনি সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সারাদেশের ৭৭টি সাংগঠনিক জেলা ও আটটি সাংগঠনিক জেলার মর্যাদাসম্পন্ন বৈদেশিক শাখার প্রায় তিন হাজার কাউন্সিলর, ২৫ হাজার ডেলিগেটস ও আট হাজার অতিথি মিলিয়ে অন্তত ৩৬ হাজার মানুষ এবারের কংগ্রেসে অংশ নেন।

সম্প্রতি দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়, তাতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হন। এতে অনেকে ইতিমধ্যে সংগঠন থেকে বহিষ্কৃতও হয়েছেন। খোদ যুবলীগ চেয়ারম্যানকেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিতর্কিত নেতাদের এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

এর আগে ২০১২ সালের ১৪ জুলাই যুবলীগের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর কংগ্রেস হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ প্রায় সাড়ে সাত বছর পর সপ্তম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হলো।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.