- সিউর সাকসেস স্কুল এন্ড ক্যাডেট কোচিং এর অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত - October 19, 2024
- A large public meeting was held at Dhanbari on the initiative of BNPMd. - October 19, 2024
- BNP initiative in Dhanbari to pray for the souls of those martyred in the mass uprising - October 19, 2024
পুলিশ জানায়, অনুষ্ঠানে ১২টি বাহিনীর ৯৫ জন জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগর স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে। একই সঙ্গে দেড় শতাধিক বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই হাজারেরও বেশি গোলাবারুদ জমা দেন।
আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে মহেশখালীর কালারমারছড়ার আলোচিত জিয়া বাহিনীর প্রধান জিয়াউর রহমান জিয়া, তার বাহিনীর মানিক, আয়াতুল্লাহ, আবদুস শুক্কুর, সিরিপ মিয়া, একরাম ও বশিরসহ অন্তত ১৫; কালা জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য আবুল, সোনা মিয়া, জমির উদ্দীনসহ প্রায় ১৫ জন; মহেশখালীর নুনাছড়ির মাহমুদুল্লাহ বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ আলী, সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বদাইয়াসহ ১৫ জন; ঝাপুয়ার সিরাজ বাহিনীর প্রধান সিরাজ-উদ-দৌলাহ; নলবিলার মুজিব বাহিনীর প্রধান মজিবুর রহমান প্রকাশ শেখ মুজিব এবং কুতুবদিয়ার লেমশিখালীর কালু বাহিনীর প্রধান কালু প্রকাশ গুরা কালুসহ তার বাহিনীর ১৫-২০ জন জলদস্যু ও অস্ত্রবাজ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলম, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বদ্ধপরিকর দেশকে সন্ত্রাস ও দস্যুমুক্ত করার জন্য। এক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের গডফাদার যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। হোক এমপি, হোক রাজনীতিবিদ কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আত্মসমর্পণকারীদের সরকার বিশেষ ব্যবস্থায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে।’ এসময় মন্ত্রী তাদেরকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর র্যাবের মাধ্যমে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার ৪৩ জলদস্যু আত্মসমর্পণের পর ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় অনেক শীর্ষ দস্যু ও অস্ত্র কারিগর। যার কারণে বিভিন্ন পাহাড় ও সাগর উপকূলে অভিযান জোরদার করে পুলিশ। অভিযানের মুখে আবারো আত্মসমর্পণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়ার দস্যু ও অস্ত্র কারিগররা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.