- সিউর সাকসেস স্কুল এন্ড ক্যাডেট কোচিং এর অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত - October 19, 2024
- A large public meeting was held at Dhanbari on the initiative of BNPMd. - October 19, 2024
- BNP initiative in Dhanbari to pray for the souls of those martyred in the mass uprising - October 19, 2024
উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে হংকংয়ে। কয়েকমাস ধরে চলা বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। স্থানীয় সময় রবি ও সোমবার সকালে হংকংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেডের পেছন থেকে পুলিশের দিকে পেট্রল বোমা ও তীর ছুড়ে মারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বড় ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই বিক্ষোভকারীদের হুশিয়ারি দেন যে, এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে পুলিশের ওপর হামলা বন্ধ করা না হলে তারা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়বে।
কয়েকমাস ধরে চলা সরকার বিরোধী বিক্ষোভের কারণে অস্থিরতা বিরাজ করছে হংকংয়ে। আধা স্বায়ত্বশাসিত এই চীনা নিয়ন্ত্রনাধীন শহরে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে।
সম্প্রতি বিক্ষোভকারীরা বারবার পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের বিক্ষোভ দমনের উদ্দেশ্যে ওপর অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করছে। হংকংয়ের পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় দখলে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা।
রবিবার বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও জল কামানের হামলার জবাব দেয় পেট্রল বোমা, ইট ও তীর ছুড়ে। হাঁটুতে তীরবিদ্ধ হওয়ায় আহত হন পুলিশের একজন কর্মকর্তা।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ক্যাম্পাসের দখল নেয়ার জন্য পুলিশ অগ্রসর হতে শুরু করলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ শুরু হয়।
সেসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পেট্রল বোমা ছুড়লে ক্যাম্পসে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ পিছু হটে। ক্যাম্পাসের ভেতরে এখনও শত শত বিক্ষোভকারী রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দখল নিয়ে রাখা শিক্ষার্থীদের রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে বলা হলেও অনেকেই এখনো ক্যাম্পাসে রয়েছেন। পুলিশের মুখপাত্র লুইস লাউ বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘তারা যদি পুলিশ অফিসারদের দিকে পেট্রল বোমা, তীরের মত বিপজ্জনক অস্ত্র ছুড়ে মারা অব্যাহত রাখে তাহলে আমাদের গুলি করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।’
পুলিশকে সরিয়ে রাখতে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের প্রবেশপথে আগুন জালিয়ে বাধা তৈরি করার চেষ্টা করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি প্রকাশ করে ক্যাম্পাস দখল করা বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে অনুরোধ করেছে।
এরআগে শনিবার চীনা সৈন্যরা টি-শার্ট ও হাফ প্যান্ট পরে রাস্তায় বিক্ষোভের ধ্বংসস্তূপ পরিস্কার করে এবং ব্যারিকেড সরিয়ে দেয়। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম হংকংয়ে থাকা চীনা সৈন্যদের রাস্তায় দেখা গেল।
সরকারি একটি বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে এই গ্রীষ্মে হংকংয়ে বিক্ষোভের সূত্রপাত। বিলটিতে বলা ছিল, কোনো অপরাধী ব্যক্তিকে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে চীনের মূল ভূখণ্ডে হস্তান্তর করা যাবে।
হংকং চীনের অংশ হলেও এই স্থানটি বিশেষ স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। কিন্তু হংকং এর মানুষের মধ্যে এই বোধ তীব্র হচ্ছে যে, বেইজিং তাদের ওপর আরো বেশি মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায়।
বিক্ষোভের পর বিতর্কিত বিলটি প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তবু বিক্ষোভ এখনো চলমান। এখন যারা আন্দোলন করছে তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সকল নাগরিকের ভোটাধিকারের দাবি। এছাড়া বিক্ষোভে পুলিশী সহিংসতার স্বাধীন তদন্ত এবং গ্রেফতারকৃত আন্দোলনকারীদের মুক্তির দাবি রয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.