‘বুলবুলে’ উপড়ে গেছে সুন্দরবনের সাড়ে চার হাজার গাছ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ আঘাতে সুন্দরবনের চার হাজার ৫৮৯টি বড় গাছ উপড়ে গেছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। এই ঘূর্ণিঝড়ে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অংশ বিশেষ এবং প্রাণিকুলেরও কিছু ক্ষতি হয়েছে। খবর বাসসের।

গত ১০ নভেম্বর প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের দুবলার চর এবং আরপাংগাশিয়া ও শিবশা নদী সংলগ্ন এলাকায় গাছের বেশি ক্ষতি হয়। ভয়াবহ শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসা এই ঝড়ের শক্তি অনেকটা কমিয়ে দেয় সুন্দরবনের সবুজ প্রাচীর।

বন বিভাগের প্রাথমিক হিসাব অনুসারে, সুন্দরবনের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের বনভূমি এলাকার এক লাখেরও বেশি হেক্টর বনভূমির প্রায় দশ ভাগের এক ভাগ ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সরকারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে দুজনের মৃত্যু এবং অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের পশ্চিম-দক্ষিণ অংশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বাতাসে গতি কমে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে।

বন বিভাগ এখন পর্যন্ত বাঘ ও হরিণের মৃত্যুর কোনো প্রমাণ পায়নি।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. মইনুদ্দিন খান বলেন, প্রায় ৫০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের অন্তত চার হাজার ৫৮৯টি গাছ উপড়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিসহ মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনাঞ্চলের পশ্চিমাংশের সুন্দরী, গেওয়া, গোরান ও কেওড়া এবং সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চলের রেইনট্রি, বাবলা, মেহগনি ও অর্জুন গাছের।

গত ১০ নভেম্বর, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকার অন্তত নয় হাজার ৪৫৫টি ঘর সম্পূর্ণ এবং ৩৭ হাজার ৮২০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.