পেঁয়াজ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক:

পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় তা কম খেতে বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজে সেটা করেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার জানালেন, পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন এবং আজ (শনিবার) দুপুরে গণভবনে তার বাসায় সব রান্না পেঁয়াজ ছাড়া হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় চার দিনের সফরে সংযুক্ত আরব-আমিরাতের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথা বলেন।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। আজ বাসায় পেঁয়াজ ছাড়া রান্না হয়েছে। আর প্লেনে পেঁয়াজ আনছি। সেটাও বলে গেলাম।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাসায় আজ দুপুরে সমস্ত রান্না হয়েছে পেঁয়াজ ছাড়া। সেটাও বলে গেলাম।’

এর আগে দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জানান, কার্গো বিমানে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিমানে পেঁয়াজ উঠে গেছে। দুই তিন দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দর স্বাভাবিক হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আগামী মঙ্গলবার কার্গো বিমানে করে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রথম চালান দেশে আসবে।বিমানবন্দরে পণ্য খালাসের পরপরই তা বাজারে ছাড়া হবে।

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পর থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণে নানামুখী উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর বিমানে করে এই খাদ্যপণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কার্গো বিমানে পেঁয়াজের প্রথম চালান আসবে মিসর থেকে। পেঁয়াজের এই চালান নিয়ে আসছে এস আলম গ্রুপ। পর্যায়ক্রমে অন্য আমদানিকারকদের পেঁয়াজও কার্গো বিমানে আসবে।

ঢাকার বাজারগুলোতে বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারগুলোতে ভালোমানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২২০ টাকা থেকে ২৩০ টাকায়, মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকায়, আর মিসর-তুরস্কের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায়।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.