পাহাড়সম রানের চাপে পড়ছে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক:

টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন ভারতীয় ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তাতেই বড় লিড পেয়ে গেলো ভারত। ভারতের স্কোর এখন ৫ উইকেটে ৪৩২ রান। লিড হয়েছে ২৮২ রানের। বাংলাদেশের কপালে যে দূর্গতি আছে তা এখনই বোঝা যাচ্ছে।

ইন্দোর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশের মুখে হাসি ফোটান পেসার আবু জায়েদ রাহী। তার দ্বিতীয় শিকার হন চেতেশ্বর পূজারা। ৭২ বলে ৫৪ রান করা পূজারা জায়েদের বলে সাইফ হাসানের তালুবন্দি হন। ভাঙে ৯১ রানের জুটি। এরপরেই বাংলাদেশকে সবচেয়ে বড় উইকেটটি উপহার দেন এই তরুণ পেসারর। ক্যারিয়ারে প্রথমবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘ডাক’ মারেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আম্পায়ার এলবিডাব্লিউ না দেওয়ায় রিভিউ নিয়ে ভয়ংকর এই ব্যাটসম্যানকে ফেরায় বাংলাদেশ।

৯১ রান নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিলেন মায়াঙ্ক। গতকাল শেষ সেশনে ৩২ রানে জীবন পেয়েছিলেন ভারতের এই উঠতি তারকা। আজ সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে ৮২ রানে আরেকবার জীবন পান তিনি। মেহেদী মিরাজের বলে তাকে এলবিডাব্লিউ ঘোষণা করেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। লাঞ্চের পরেই তিনি ১৮৩ বলে ১৫ চার ১ ছক্কায় তুলে নিয়েছেন ৮ ম্যাচ ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। দ্রুতই তিনি বাংলাদেশের দলীয় স্কোর ১৫০ একাই পেরিয়ে যান।

১৭২ বলে ৮৬ রান করে আজিঙ্কা রাহানে যখন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে, তখনই আঘাত হানেন আবু জায়েদ। রাহানেকে তাইজুলের তালুবন্দি করে নিজের চতুর্থ শিকার ধরেন তিনি। এরইসঙ্গে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ১৯০ রানের জুটি। ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগুতে থাকা মায়াঙ্কের সঙ্গী হন রবীন্দ্র জাদেজা। দুজনে আগের মতোই এগিয়ে নিতে থাকেন ভারতকে। শেষ সেশনে ৩০৩ বলে ২৫ চার ৫ ছক্কায় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ওপেনার। গত ২ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশাখাপত্তনমে তিনি ২১৫ রানের ইনিংস খেলেন। আজ তাকে ২৪২ রানে থামান মেহেদী হাসান মিরাজ। মায়াঙ্কের ক্যাচ নেন আবু জায়েদ। ভাঙে ১২৩ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।

এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম দিন রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে শুভসূচনা এনে দিয়েছিলেন রাহী। এদিন ব্যাটিং ব্যর্থতায় হলকার স্টেডিয়ামে ১৫০ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগারদের প্রথম ইনিংস। এক মুশফিকুর রহিম ছাড়া কেউই ব্যাট হাতে তেমন আলো ছড়াতে পারেননি। তাতে অল্পতেই অলআউট হয় অতিথিরা। আর ১ উইকেটে ৮৬ রানে দিন শেষ করেছিল ভারত।

কাগজে-কলমে বাংলাদেশ থেকে অনেকটা এগিয়ে ভারত। আর ম্যাচটা যখন ভারতের ঘরের মাঠে তখন তো আরও ভয়। অতীত পরিসংখ্যানই তেমন কথা বলছে। নিজেদের মাঠে ২০১৩ সালের পর ৩২ টেস্ট খেলে ২৬টিতেই জিতেছে ভারত। যার মধ্যে আবার ৫টা ড্র আর একটা মাত্র হার। তাছাড়া টেস্টে ভারতের বিপক্ষে আগে ৯টি ম্যাচে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ৭টি হেরেছে আর বাকি দুই ম্যাচ হয়েছে ড্র।

হলকার স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ভারত ও বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট আরেকটা কারণে একটু বেশিই স্পেশাল। কেননা এই ম্যাচ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেক হলো টাইগারদের। সেই সঙ্গে ক্যাপ্টেন হিসেবে মুমিনুলও প্রবেশ করলেন টেস্টের এই নতুন অধ্যায়ে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.