- সিউর সাকসেস স্কুল এন্ড ক্যাডেট কোচিং এর অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত - October 19, 2024
- A large public meeting was held at Dhanbari on the initiative of BNPMd. - October 19, 2024
- BNP initiative in Dhanbari to pray for the souls of those martyred in the mass uprising - October 19, 2024
অনলাইন ডেস্ক:
মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির যৌনহয়রানি সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার মামলায় আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে তার আত্মপক্ষ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ শুনানি শেষে আগামী ২০ নভেম্বর যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেন। এর আগে দুপুর আড়াইটায় শুনানি শুরু হয়। সে সময় ওসি মোয়াজ্জেম কাঠগড়ায় দাঁড়ানো ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম শুনানির শুরুতে ওসি মোয়াজ্জেমের উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন এবং বাদীসহ ১১ জনের সাক্ষ্যে অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, দোষী না নির্দোষ? জবাবে তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।
এরপর বিচারক ওসি মোয়াজ্জেমের কিছু বলার আছে কি না এবং সাফাই সাক্ষ্য দেবেন কিনা জানাতে চান। জবাবে তিনি জানান, সাফাই সাক্ষ্য দেবেন না। তবে নিজে লিখিত বক্তব্য দেবেন। লিখিত বক্তব্যের কিছু তিনি মৌখিকভাবে বলতে চান। বিচারক অনুমতি প্রদান করেন। এরপর তিনি মৌখিক বক্তব্য শুরু করেন।
বক্তব্যে তিনি নুসরাতের হত্যায় আসামিদের গ্রেপ্তারে তড়িৎ পদক্ষেপ নেন ও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেন বলে জানান। তিনি বলেন, আমি ভিডিওটি করেছি প্রমাণ রেখে সিরাজ উদ দৌলাকে আটকের জন্য।
শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে ও অর্থনৈদিকভাবে লাভবানের উদ্দেশ্য বাদী এ মামলা করেছেন বলে দাবি করেন মোয়াজ্জেম হোসেন। বলেন, ‘বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলের একটি পোস্ট হোল্ড করেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসার জন্য মামলা করেন।’
এ সময় তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে আদালতকে বলেন, আমি এ মামলার মাধ্যমে বড় সাজা পেয়েই গেছি। আমার ছেলে স্কুলে যেতে পারে না। আমার মেয়ে এবং মা সজ্জাসায়ী। আমার পরিবার ধ্বংশ হয়ে গেছে। আমি ১০টি খুন করলেও এমন সাজা বোধহয় আমার হতো না। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমি এতই ঘৃণিত হয়ে গেছি যে, রংপুরে আমাকে ক্লোজ করার পর আমার বিরুদ্ধে জুতা মিছিল হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যতে ভুল তথ্য ছড়ানোয় এমনটা হয়েছে।
ফেনীর সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদ্দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা তুলে নেয়ার দাবিতে গত ৬ এপ্রিল রাফির গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা। টানা পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থেকে গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রাফির মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার হত্যা মামলায় গত ২৪ অক্টোবর আদালত ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.