ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৬

অনলাইন ডেস্ক:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী আন্তঃনগর মহানগর তূর্ণা নিশিথা ও আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।দুর্ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে আখাউড়া হয়ে চট্টগ্রাম – ঢাকা ও আখাউড়া হয়ে চট্টগ্রাম – সিলেটসহ নোয়াখালীর রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি শ্যামল কান্তি দাস দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর মহানগর তূর্ণা নিশিথা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। দুইটি ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে হতাহতদের উদ্ধার কাজ চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন জানান, মৃতদের মধ্যে নয়জন ঘটনাস্থলে, সদর হাসপাতালে দুইজন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন এবং কুমিল্লা সদর হাসপাতালে একজন মারা যান।

দুর্ঘটনা কবলিত আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক ( গার্ড) মো. কবীর হোসেন জানান, উদয়ন ট্রেনটি তূর্ণা নিশিথা ট্রেনটি ক্রসিং লাইনে প্রবেশ করছিলেন। এ সময় উদয়নের অর্ধেক বগি লুব লাইনে প্রবেশ করলে আন্তঃনগর মহানগর তূর্ণা নিশিতা উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উদয়ন ট্রেনের দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার শফিক তুহিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন দুইটি উদ্ধার করতে কুমিল্লার লাকসাম ও আখাউড়ার রেলওয়ে জংশন থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে এসেছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.