কিছুটা দুর্বল হয়ে আঘাত হানলেও ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ তার থাবা বসিয়েছে উপকূলীয় এলাকায়। প্রচণ্ড ঝড়ো-হাওয়ায় বাড়িঘর ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে, সাতক্ষীরায় প্রচণ্ড গতিতে আঘাত হানে ‘বুলবুল’। এতে শত শত ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

জানা যায়, রবিবার ভোররাতে সাতক্ষীরায় প্রচণ্ড গতিতে আঘাত হানে ‘বুলবুল’। এতে উপকূলীয় শ্যামনগ‌র এলাকায় ক‌য়েক হাজার বাড়িঘর ও গাছগাছালি বিধ্বস্ত হয়েছে।

সীমান্তবর্তী বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল জানান, তার এলাকার সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। গাছপালা পড়ে রাস্তাঘাট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মাছের ঘের ভেসে গেছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পটুয়াখালীর মির্জাগ‌ঞ্জের উত্তর রামপুরা গ্রা‌মে হামেদ ফকির (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। ভোররাতে ঘরের ওপর গাছ পড়ে তিনি মারা যান বলে জানা গেছে।

‘বুলবুলের’ প্রভাবে ভোলায় শনিবার রাতে প্রচণ্ড ঝড় হয়েছে। ভোলার লালমোহনে ঝড়ের প্রভাবে উপড়ে গেছে গাছ ও কয়েকটি ঘরবাড়ি। একইসাথে গাছ চাপা পড়ে আহত হয়েছে প্রায় আটজন। তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মাঝে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশে আঘাত হানার আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে। সেখানে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।