দেশ সেরার পুরস্কার পেলেন জয়া আহসান ও তিশা

বিনোদন ডেস্ক:

জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে ঘোষিত হয়েছে বহুল প্রতিক্ষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।  জানা গেল বিগত দুই বছরে চলচ্চিত্রে সেরাদের নাম।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ২০১৭ ও ২০১৮ সালের পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়।  জানা গেল বিগত দুই বছরে চলচ্চিত্রে সেরা দুই অভিনেত্রীর নাম।

ঘোষণা অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ‘হালদা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা এবং ২০১৮ সালে ‘দেবী’ ছবিতে অভিনয় করা জয়া আহসান।

এছাড়া ২০১৭ সালে যৌথভাবে সেরা নায়ক হয়েছেন ‘সত্তা’ ছবির জন্য শাকিব খান ও ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির জন্য আরিফিন শুভ।

২০১৮ সালে ‘পুত্র’ ছবি দিয়ে সেরা অভিনেতা হয়েছেন ফেরদৌস এবং ‘জান্নাত’ ছবি দিয়ে সেরা অভিনেতা সাইমন সাদিক।
২০১৭ সালের সেরা চলচ্চিত্রও নির্বাচিত হয়েছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’। ২০১৮ সালের সেরা ছবি ‘পুত্র’। পার্শ্বচরিত্রে সেরা তিন অভিনেত্রী হলেন সুবর্ণা মুস্তাফা, রুনা খান ও সুচুরিতা।

এদিকে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ও ‘পুত্র’ চলচ্চিত্র দুটি সেরা নির্বাচিত হলেও এই দুই ছবির পরিচালকদের কেউই সেরা পরিচালক হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।  তারা সেরা না হওয়ায় এ নিয়ে সিনেপাড়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

এবার মোট ২৮টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।  সেগুলো হলো – আজীবন সম্মাননা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী, শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক, শ্রেষ্ঠ গায়ক, শ্রেষ্ঠ গায়িকা, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সুরকার, শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার, শ্রেষ্ঠ চিত্র নাট্যকার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা এবং শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান।

২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য গঠিত জুরি বোর্ডে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) সভাপতি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সদস্য-সচিব হিসেবে এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চলচ্চিত্র) ও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৩ সদস্যবিশিষ্ট ২০১৭ সালের জুরি বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া, একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আহসান বুলবুল, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক এম এ আলমগীর, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্রগ্রাহক পংকজ পালিত ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম।

২০১৮ সালের জুরি বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া, চলচ্চিত্র অভিনেতা ড. এনামুল হক, সংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, গীতিকার ও সংগীত পরিচালক হাসান মতিউর রহমান, অভিনেত্রী রওশন আরা রোজিনা, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থার যুগ্ম-মহাসচিব তপন আহমেদ।

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.