- গণঅভ্যুত্থানে শাহাদৎ বরণকারীদের রুহের মাগফিরাত কামনা ধনবাড়ীতে বিএনপির উদ্যোগে - October 19, 2024
- কাজীপুর জবর দখলকৃত জমিতে রোপন করা ফসল নষ্ট করে উল্টো প্রকৃত জমির মালিককে ফাসানোর চেষ্টা - October 18, 2024
- ধনবাড়ীতে ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল জনসভা - October 18, 2024
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
গত কয়েকদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ করে যমুনা নদীর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশে পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। এতে করে এ উপজেলার গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলোর আংশিক কিছু এলাকায় পানি প্লাবিত হচ্ছে। ভাঙন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদী তীরের মানুষ।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গত শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে যমুনা পানি বাড়তে শুরু হয়েছে। পানি বাড়ার আগে যমুনা নদী প্রমত্তা হারিয়ে ধূ-ধূ বালু চরে পরিণিত হয়েছিল। বর্তমানে যমুনায় বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই এবং দু’এক দিনের মধ্যেই পানি কমে যাবে বলে আশা করছি।
চরাঞ্চল ও নদীর তীরে ভাঙন কবলিতরা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলে যমুনায় নদীর পানি প্রবাহ বেড়েছে। শুকিয়ে যাওয়া মৃতপ্রায় যমুনা নদীতে আবারো ফুলে-ফেঁপে উঠে ফিরে পেয়েছে সেই চিরচেনা রূপ। হেঁটে পাড়ি দেয়া যমুনায় চলতে শুরু করেছে নৌকা। হাঁকডাক বেড়েছে মাঝি মাল্লাদের। কর্মব্যস্ততা দেখা দিয়েছে যমুনা পাড়ের জেলে পরিবারে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চরাঞ্চল এলাকার গাবসারা, রুলীপাড়া, বেলটিয়াপাড়া, মেঘারপটল, চর চন্দনী, কালিপুর, বাসুদেবকোল, ভদ্রশিমুল, রায়ের বাসালিয়া, গোবিন্দগঞ্জ, অর্জুনা, কুঠিবয়ড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, নতুন করে পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনার বুকে জেগে ওঠা চরে রোপণ করা নানা ধরণের সবজি ও প্রস্তুত ফলসি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে অনেকাংশ। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট। জনদুর্ভোগে পড়েছে চরাঞ্চলবাসিরা। বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
উপজেলার চরাঞ্চল এলাকার কালিপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল হামিদ বলেন, যমুনা নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের নিচু জমিতে আগাম জাতের আমন ধান রোপণ করে ছিলাম। সেই আমন ক্ষেতে কিছু অংশ নদী ভাঙনে বিলীন হলেও বাকি অংশের ধান নতুন পানিতে ডুবে গেছে। দ্রুত পানি নেমে গেলে ধান ক্ষেতের উপকার হবে। কিন্তু বেশি সময় ডুবে থাকলে ধানের চারা পঁচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চরাঞ্চলের রুলীপাড়া গ্রামের মো. জয়ান আলী মন্ডল বলেন, নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের জমিতে বভিন্ন সবজি চাষের জন্য জমি তৈরি করে রাখা হয়েছিল। কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সবজি বীজ বপন করা হয়নি। এরই মধ্যে আবার হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পেয়ে জমি ডুবে গেছে। তাই ব্যস্ততাও কমে গেছে। পানি নেমে গেলে আবারও জমিতে সবজি বীজ বপন করা হবে বলেও জানান।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, তিস্তা নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পেয়ে যমুনায় কিছুটা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বন্যার আশঙ্কা নেই এবং দু’এক দিনের মধ্যেই পানি কমে যাবে বলে আশা করছি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.