নয়ানখাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের দাবীতে বিক্ষোভ কক্ষে তালা ও তাদের মারপিঠের অভিযোগ

খলিলুর রহমান,স্টাফ রিপোর্টারঃ

শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানের দাবীতে বিক্ষোভ কক্ষে তালা ও তাদের মারপিঠের অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের নয়ানখাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে।

গতকাল শনিবার দুপুরে নয়ানখাল স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিকে একাধিকবার জানিয়েও কোন ফল হয়নি। সময়মত শিক্ষকরা অফিসে আসেন না এবং পাঠদানও করেন না। ওই মহাবিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর মোট ৯১জন ছাত্র ছাত্রীদের সবাইকে নানা প্রতিশ্র“তি দিয়ে ভর্তি করান। আজ আমাদের ভবিষ্যৎ কোথায় কে দেখবে এই পরিনতি। শিক্ষকরা ওষুধ কম্পানিতে চাকুরী করেন সপ্তাহে দুএকদিন অফিসে আসেন তাও আবার দুপুরে। আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসী চিন্তিত। শিক্ষকরা যেখানে মানুষ গড়ার কারিগড় আজ আমাদের পরিনতি বেহাল কে নিবে আমাদের ভাবিষ্যৎ জীবনের দায়ভার। আজ আমরা অনেক যন্ত্রনা সহ্য করে

নিয়মিত পাঠদানের দাবীতে ওই প্রতিষ্ঠানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। কয়েকজন শিক্ষার্থী আরও অভিযোগ করে বলেন, আজ আমরা নিয়মিত পাঠদান চেয়েছি যার কারনে অধ্যক্ষ ও তার নিজস্ব ভারাটে বাহিনী দিয়ে সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বেধরক মারপিঠ করেন ও কক্ষের তালা ভেঙ্গে দেন।

নয়ানখাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জলিলুর রহমান ডাবলু বলেন, আসলে এখানে শিক্ষক আছেন মোট ১৩জন। তারা বেতন ভাতা পান না অন্যথায় ওষুধ কম্পানিতে কাজ করেন তাই নিয়মিত অফিসে আসেন না। এদের মধ্যে শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে ৬ জন ও ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে ৭ জন শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত। তাদের বাড়ি বিভিন্ন এলাকায় ও দুরে হওয়ায় ঠিকমত আসেন না। তিনি আরও বলেন,খন্ডকালিন শিক্ষক দিয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিং এর মাধ্যমে তাদের লেখা পড়ার ঘাটতি পুরন করা হবে। তবে কক্ষে তালা ও তাদের মারপিঠের ওই ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি, এলাকায় বসে মিমাংসা করা হবে।

ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও বাহাগিলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলুর কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে বলেন, আসলে সমস্যা অনেক, নয়ানখাল স্কুল এন্ড কলেজের কলেজ শাখা ২০১২ সালে স্থাপিত হয়। তখন থেকেই শিক্ষকরা পরিশ্রম করছেন। রেজাল্টও অনেক ভালো ছিলো বিগত দিনে। তবে শিক্ষকরা বিল বেতন পান না,তাই কলেজে নিয়মিত আসেন না। নিয়মিত পাঠদানের দাবীতে কক্ষে তালা ও তাদের মারপিঠের বিষয়টি আগামী দুএক দিনের মধ্যে বসে তার সমাধান করা হবে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.